কোনোভাবেই মনোযোগী হতে পারছেন না আপনার কাজে। কী হল! অবাক হয়ে নিশ্চয় ভাবছেন, মস্তিষ্ক কেন আপনার সঙ্গে এমন বেইমানি করছে!
শান্ত হোন। এটা আসলে খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। সারাদিনের কাজের পর ব্রেইন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বিকেলের দিকে বেশিরভাগ মানুষেরই কিছুটা গ্লুকোজের দরকার হয়। এই গ্লুকোজ পাওয়া মাত্রই মস্তিষ্ক আবার তরতাজা হয়ে তার কাজ শুরু করে দেয়।
এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ আসফিয়া আজিম।
১. অফিসের ড্রয়ারে রাখুন বিস্কুট বা কুকি। তবে ময়দার কুকি থেকে গমের হোল-হুইট বিস্কুট অনেক বেশি উপকারী। বিস্কুট বা কুকি যেহেতু কার্বোহাইড্রেট ধরনের খাবার, ফলে বিস্কুট বা কুকি থেকে খুব তাড়াতাড়ি এনার্জি পাওয়া যায়। ব্রেইন অতি তাড়াতাড়ি সচল হয়ে ওঠে। আর গমের বিস্কুটের সুবিধা হল এটি হোল-হুইট হওয়াতে এর গ্লুকোজ আস্তে আস্তে রক্তে মেশে। ফলে মস্তিষ্ক অনেকক্ষণ ধরে গ্লুকোজ পেতে থাকে, পাশাপাশি গমের বিস্কুট হুট করে রক্তে সুগার বাড়তে দেয় না।
২. সম্ভব হলে বিস্কুটের উপর একটা পনিরের টুকরা রেখে খেতে পারেন। পনির আপনাকে প্রোটিন সরবরাহ করবে আর বাড়তি পুষ্টি জোগাবে।
৩. কার্বোহাইড্রেট এড়াতে চাইলে পেয়ারা বা জাম খেতে পারেন। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় মস্তিষ্ক সচল রাখার কাজে সহায়তা করে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকায় শর্ট র্টাম মেমোরি লস-এর সম্ভাবনা কমায় জাম।
৪. ছোট কৌটাতে করে রাখতে পারেন বাদামের মিশ্রণ। চিনাবাদাম, কাঠবাদাম আর ওয়ালনাট বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে দারুণ। কাঠবাদাম আর ওয়ালনাটের 'ভিটামিন ই' নিউরাল সেলকে সুগঠিত করে যা পরোক্ষভাবে মস্তিষ্কের কাজকে দ্রুত করে। চিনাবাদামের প্রোটিনও উপকারী।
৫. টিফিনবক্সে করে ব্রোকলি সেদ্ধ আনতে পারেন। অথবা চট করে কাছের কোনো রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেয়ে আসতে পারেন ব্রোকলি সালাদ। এই সবজির 'কে ভিটামিন' মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. কলাকে খুব র্স্মাট ফল হিসেবে গণ্য করা না হলেও এই ফলটি আপনাকে স্মার্ট করে তুলবে। পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস কলা। আর পটাশিয়াম মানসিক স্বাস্থ্য সুন্দর রেখে ব্রেইন গতিশীল করে।
৭. ডার্ক চকলেট বিপদের বন্ধু। এর চিনি ক্লান্ত মস্তিষ্ককে সতেজ করে। পাশাপাশি ডার্ক চকলেটে জিংক থাকায় মস্তিষ্ক তার কাজকে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে থাকে।
অলঙ্ককরণ: আজিজি ফাওমি।