ঈদ রান্না ২

আনন্দ উৎসবে নানান রকম মজার স্বাদের খাবারের রেসিপি দিয়েছেন সামিয়া রহমান।

ইশরাত মৌরিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2014, 11:36 AM
Updated : 26 July 2014, 11:36 AM

জিরা পোলাও

উপকরণ

বাসমতী চাল ২ কাপ। ভাজা পেঁয়াজ ১ টেবিল-চামচ। কাঁচামরিচ ৩/৪টি। জিরা ২ টেবিল–চামচ। জাফরান ১ চিমটি। পুদিনা ইচ্ছামতো। ঘি কিংবা তেল ২ টেবিল–চামচ। লবণ স্বাদমতো।

জিরা পোলাও

পদ্ধতি

চাল ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। পাত্রে তেল গরম করুন। জিরা, কাঁচামরিচ কুচি, পুদিনাপাতা দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করে পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিন দুইবারে। এখন স্বাদমতো লবণ দিন।

এবার ভিজিয়ে রাখা চালগুলো ওই সিদ্ধ পানিতে ঢেলে দিন। এবার খেয়াল রাখুন, পানি ৯০ভাগ কমে আসলে ভাজা পেঁয়াজ আর জাফরান দিয়ে পাত্র ঢেকে দিন।

আরও ৫ মিনিট কিংবা একটু বেশি সময় রেখে নামিয়ে ফেলুন। হয়ে গেল মজাদার জিরা পোলাও।

আমের রসমালাই

উপকরণ

দুধ ১ লিটার। ভিনেগার বা, লেবুররস ১ কাপ। এলাচ ২টি, গুঁড়া করা। চিনি দেড় কাপ। সুজি ২ চা-চামচ। পানি পরিমাণমতো।

মালাইয়ের জন্য: আম রস করা ২ কাপ। দুধ ২ কাপ। কন্ডেন্সড মিল্ক ১ কৌটা। গোলাপ পানি ৪-৫ ফোঁটা।

পদ্ধতি

প্রথমে হাঁড়িতে দুধ ফুটিয়ে নিন। ভালোমতো ফুটলে ভিনেগার কিংবা লেবুর রস আধা কাপ ঢেলে দিন। দেখা যাবে দুধ ছানা হয়ে গেছে। যদি না হয় তাহলে আরও ভিনেগার কিংবা লেবুর রস দিয়ে দুধ ফাটাবেন। ছানা হয়ে গেলে, এর থেকে পানি ফেলে দিন।

আমের রসমালাই

এবার পানি দিয়ে ছানা ধুয়ে একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছানাগুলো ভরে পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন। এভাবে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখবেন। এরপর ছানা নামিয়ে এর সঙ্গে সুজি বা আটা এবং এলাচগুঁড়া খুব ভালো করে মেশান।

এবার ছানা দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করুন। ৩ কাপ পানিতে চিনি ঢেলে অন্য একটা হাঁড়িতে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করুন। জ্বলন্ত চুলায় চিনির সিরার ভেতর  আস্তে আস্তে বলগুলো ছেড়ে দিয়ে আগুনের আঁচ কমিয়ে দিন। হাঁড়ির মুখ ঢেকে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। এবার রসগোল্লাগুলো সিরা থেকে তুলে নিয়ে আলাদা একটা পাত্রে রাখুন।

এবার মালাই তৈরি করতে একটা পাতিলে দুধ নিয়ে জ্বাল দিন। দুধ ঘন হয়ে আসলে কন্ডেন্সড মিল্ক, আমের রস ঢেলে ৫-৬ মিনিট রান্না করুন।

এবার রসগোল্লাগুলো, রান্না থাকা অবস্থায় মালাইয়ের মধ্যে একটা একটা করে ছেড়ে দিন। আরও ৮-১০ মিনিট রান্না করুন।

নামানোর আগে উপর দিয়ে গোলাপ পানি ছিটিয়ে দিন। গরম গরম খেতে পারেন আবার ফ্রিজে ঠান্ডা করে খেতেও মজা আমের রসগোল্লা।

কিমা বেগুন

উপকরণ

বেগুন মাঝারি সাইজের ৪টি। যে কোনো মাংসের ২ কাপ। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। রসুনবাটা ২ টেবিল–চামচ। আদাবাটা ২ টেবিল–চামচ। মরিচগুঁড়া ২ টেবিল–চামচ। জিরাগুঁড়া ১ টেবিল–চামচ। ধনেগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা–চামচ। তেঁতুলের কাথ ১ কাপ। চিনি ২ টেবিল–চামচ। মেথি ১ টেবিল–চামচ। তেল ১ কাপ। কাঁচামরিচ ৩-৪টি। পানি পরিমাণমতো। পুদিনা বা, ধনেপাতা সাজানোর জন্য। লবণ স্বাদমতো।

কিমা বেগুন

পদ্ধতি

প্রথমে বেগুনগুলো মাঝখানে সমান করে কেটে নিতে হবে। তারপর ভিতরটা একটু চিড়ে নিন। হলুদ আর লবণ দিয়ে মেখে ডুবো তেলে ভেজে আলাদা করে তুলে রেখে দিন।

এখন রান্নার পাত্রে তেল গরম করে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে কিমা ঢেলে রান্না করে আলাদা করে তুলে রাখুন।

এবার এই পাত্রেই আবার তেল নিয়ে মেথি, তেঁতুলের কাথ, চিনি, পেঁয়াজকুচি, আদাবাটা, রসুনবাটা দিয়ে একটু রান্না করতে হবে। যখন বেশ সুন্দর একটা ঘ্রাণ আসবে তখন রান্না করা কিমাগুলো দিয়ে দিন।

৫ মিনিট রান্না হওয়ার পর যখন কিমা মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ফেলুন। এবার আগেই ভেজে রাখা বেগুন উপর দিয়ে সাজিয়ে দিন। হয়ে গেল কিমা বেগুন।

চিকেন গ্রেভি রোস্ট

উপকারণ

মুরগি ১টি। আদা বাটা ১ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। পেঁয়াজবাটা আধাকাপ। ভাজা পেঁয়াজ ১ কাপ। পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল–চামচ। জায়ফলগুঁড়া আধা চা-চামচ। জয়ত্রীগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ। লালমরিচগুঁড়া ২ চা-চামচ। কিশমিশ ১ চা-চামচ। চিনি ১ চা-চামচ। এলাচ ২টি। দারুচিনি ২টি। তেজপাতা ২টি। তেল (মুরগি ভাজার জন্য)। মাখন (রান্নার জন্য)। তরলদুধ ২ কাপ। কাঁচামরিচ ৫-৬টি। কেওড়ার জল কয়েক ফোঁটা। স্বাদমতো লবণ।

চিকেন গ্রেভি রোস্ট

পদ্ধতি

মুরগি লবণ দিয়ে মাখিয়ে বাদামি করে তেলে ভেজে নিন। এখন পাতিলে মাখন দিয়ে এলাচ, দারুচিনি তেজপাতা দিন। একটু সুন্দর গন্ধ বের হলে পেঁয়াজবাটা, আদাবাটা, রসুনবাটা দিয়ে ভাজুন। তারপর একে একে ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া, লালমরিচগুঁড়া, জায়ফলগুঁড়া, জয়ত্রীগুঁড়া, পোস্তদানা বাটা দিয়ে একটু দুধসহ কষাণ।

তারপর ভেজে রাখা মুরগি দিয়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এখন ভাজা পেঁয়াজ, তরলদুধ, কাঁচামরিচ-সহ ১০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন।

কিশমিশ, কেওড়ার পানি দিয়ে ২ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন।