এখানকার জায়গাগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে। তবে বর্ষার সাজ একেবারেই অন্যরূপ। অবসরে তাই সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণে সবার আগে দেখা উচিৎ জেলা শহরের উপজাতীয় জাদুঘর। পুরো জেলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর ইতিহাস সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা মিলবে জাদুঘর থেকে। এটি খোলা থাকে সোম থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। শনি, রবি ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতে জাদুঘর বন্ধ থাকে। জাদুঘরে বড়দের প্রবেশ মূল্য পাঁচ টাকা ও ছোটদের দুই টাকা।
রাঙ্গামাটি শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে, একপাশে রিজার্ভ বাজার আর তবলছড়ি বাজার। এ দুটি বাজারেই মূলত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষের আনাগোনা বেশি থাকে।
এই লেইকের স্বচ্ছ পানি আর বাঁকে বাঁকে পাহাড়ের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে।
ঝুলন্দ সেতু, শহরের তবলছড়ি কিংবা রিজার্ভ বাজার ঘাটে পাওয়া যায় কাপ্তাই লেইকে ভ্রমণের নানান রকম ইঞ্জিন নৌকা। তবে ঝুলন্ত সেতু থেকে নৌকা ভাড়া নিলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়।
সারাদিনের জন্য একটি নৌকা ভাড়া করে সকালে চলে যাওয়া যায় শুভলং বাজার। শুভলং যাওয়ার পথেই হাতের বাঁয়ে শুভলং ঝরণা। বর্ষাকালে এ ঝরণা প্রাণ ফিরে পায়।
তবলছড়ি কিংবা রিজার্ভ বাজার থেকে সারাদিন ভ্রমণের জন্য একটি ইঞ্জিন নৌকার ভাড়া পড়বে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা। নিজস্ব গাড়ির ব্যবস্থা থাকলে বেড়াতে পারেন রাঙ্গামাটি কাপ্তাই সংযোগ সড়কে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে চলতে ভালোই লাগবে। এ পথ ধরে কাপ্তাই হয়ে চট্টগ্রাম ফেরার পথে দেখে নিতে পারেন কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান।
কীভাবে যাবেন
কোথায় থাকবেন
রাঙ্গামাটি ভ্রমণে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো পর্যটন মোটেল (০৩৫১-৬৩১২৬)। এখানকার নন এসি কক্ষ দেড় হাজার টাকা। এসি কক্ষ আড়াই হাজার টাকা এবং ট্রাইবাল কটেজ ১ হাজার ৭শ’ থেকে ৩ হাজার ২শ’ টাকা।
এছাড়ার রাঙ্গামাটি শহরের অন্যান্য সাধারণ মানের হোটেল হল: কাঠালতলীতে হোটেল সুফিয়া (০৩৫১-৬২১৪৫)। রিজার্ভ বাজারে হোটেল গ্রীন ক্যাসেল (০৩৫১-৬৩২৮২)। পর্যটন রোডে হোটেল মাউন্টেন ভিউ (০৩৫১-৬২৮৪৮) ইত্যাদি। এসব হোটেলে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় কক্ষ আছে।