খালিদের পছন্দে কে ক্রাফটের তিন পোশাক

দেশীয় পোশাকঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান কে ক্রাফট। সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে বলে তাদের পোশাকের চাহিদা সারা বছরই থাকে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2014, 03:17 AM
Updated : 22 July 2014, 03:38 AM

এবারের ঈদে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, কামিজ, কুর্তা, স্কার্ট-টপস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট ও শিশুদের পোশাকসহ নানান উপহারসামগ্রী ও ঘর সাজানোর অনুষঙ্গ এনেছে কে ক্র্যাফট। অলঙ্করণ আর নতুন কাটিংয়ের সঙ্গে পোশাকগুলোতে থাকছে নানান রং: উজ্জ্বল নীল, মেজেন্টা, বেগুনি, বাদামি, লাল, সি-গ্রিন, সবুজের নানান শেইড, নীলের নানান শেইড।

কে ক্রাফটের উদ্যোক্তা – কর্ণধার খালিদ মাহমুদ খান

উৎসবের এত আয়োজনের মাঝ থেকে কে ক্রাফটের উদ্যোক্তা – কর্ণধার খালিদ মাহমুদ খান, নিজের পছন্দের তিনটি পোশাকের কথা জানালেন।

সুতির লং পাঞ্জাবি

যতই বৃষ্টি হোক, এই সময় গরম থাকেই। তাই এই সুতির পাঞ্জাবির রং রাখা হয়েছে সাদা। সঙ্গে ডাবল নিব বোতাম। পোশাকের ধারায় ফিরে এসেছে লম্বা ছাঁট, তাই এই পাঞ্জাবিও ‘লং’। গলায় ও হাতে রয়েছে অলিভ গ্রিন রংয়ের কারুকাজ। যা স্ক্রিন প্রিন্ট ও হাতের কাজের মাধ্যমে প্যাচ করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোটিফ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে জ্যামিতিক নকশা। হাতের প্রান্তে ও গলার এই ডিজাইনে বর্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ইয়োকের কাজ।

হাফসিল্ক স্ট্রাইপ শাড়ি।

সুতির লং পাঞ্জাবি।

হাফসিল্ক স্ট্রাইপ শাড়ি

গরমে পরে আরাম হাফসিল্ক। আর উৎসবের আমেজ আনতে বেছে নেওয়া হয়েছে হলুদ-কলাপাতা রং। আঁচলে প্যাচ, ইয়োক ও এম্ব্রয়ডারির সমন্বয়ে করা হয়েছে ছোট বড় নকশা, যা ফুঁটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রাচীন সাইপ্রাসের মোটিফ। জমিনে স্ক্রিন প্রিন্ট আর কুঁচিতে স্ট্রাইপ। ভিন্নতা আনতে গাঢ় সবুজ ও মেরুন রংয়ের পাড় তৈরি করে আলাদা বসানো হয়েছে। দাম: ৫,৪৫০ টাকা।

লং সিল্ক সালোয়ার কামিজ।

লং সিল্ক সালোয়ার কামিজ

কামিজের কাপড়ে রয়েছে শিফন, মসলিন, সুতি কাপড়ের সমন্বয়। রুমাল ছাঁটের এই পোশাকে ঘটেছে ম্যাজেন্টা, ইট-কমলা ও বিস্কিট রংয়ের সমাহার। ওড়ানাও তাই, সঙ্গে রয়েছে টাই-ডাই ও ক্র্যাক মাধ্যমের নকশা। ওড়নার সীমানা জুড়ে করা হয়েছে লেস ও পট্টির ব্যবহার। ফুলেল মোটিফের কারণে পুরো পোশাকে ফুঁটে উঠেছে দেশীয় ঐতিহ্যের নকশা। কামিজের নিচে ঝালর জুড়ে করা হয়েছে লেস ও পাইপিংয়ের কাজ। সঙ্গে চুড়িদার পায়জামা। দাম ৫,৫৫০ টাকা।