ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্টির গবেষকদের সাম্প্রতিক গবেষণায় বেড়িয়ে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য।
খাদ্য প্যাকেটজাত করার সময় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবেও সিনামোমাম কাসিয়া ওয়েল বা সিনামান ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি গবেষক লিনা শেং বলেন, “মাংস, ফল আর বিভিন্ন সবজি প্যাকেট করার সময় দারুচিনির তেলের প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে। মাংস, ফল আর সবজি ধোয়ার সময়ও ব্যবহার করা যেতে পারে। খাদ্য উপাদানে উপস্থিত অণুজীব ধ্বংস করে দেবে এই দারুচিনির তেল।”
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় যে বিশেষ ধরনের দারুচিনি ব্যবহার করেছেন তার নাম ‘কাসিয়া সিনামান’। যা ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়। অন্যান্য জাতের দারুচিনির তুলনায় এর গন্ধটাও শক্তিশালী।
মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক বিষাক্ত উপাদান ছড়ায় এমন একাধিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দিতে পারে এই দারুচিনির তেল। এর মধ্যে আছে একাধিক ‘E coli’ ব্যাকটেরিয়াও।
স্বল্প মাত্রায় দারুচিনির তেল প্রয়োগ করেই খাদ্য উপাদান জীবাণু মুক্ত করা যায়। এক লিটার পানিতে ১০ ফোঁটা দারুচিনির তেল দিলে তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন শেং।
“আমরা আসলে এমন ভেষজ উপাদান খুঁজছি যা খাবার টাটকা ও জীবণুমুক্ত রাখবে।”-বলেন শেং।