সাতদিনে স্ফীতভাব দূর

নিজেকে বেশি স্ফীত লাগছে। বিভিন্ন কারণে এরকম লাগতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সুস্থ জীবনযাপন করুন।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2014, 03:01 PM
Updated : 24 June 2014, 07:02 AM

ফিমেলফার্স্ট ডটকো ডটইউকে’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে সুস্থ জীবনের স্বাদ নিন।

প্রথম দিন

মাল্টি স্ট্রেইন প্রোবায়োটিক গ্রহণ করুন— যাকে সহজে বলা যায় উপকারী ব্যাকটেরিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে প্রোবায়োটিক হজমে সহায়তা করে। যেমন: দই। খাবার হজম হওয়ার জন্য যেসব ব্যাকটেরিয়া কাজ করে সেগুলোর সঙ্গে ইস্ট ও মাইক্রোফ্লোরা বা ছত্রাক, মিলেমিশে পেটে গ্যাস তৈরি করে। ফলে পেট ফোলা লাগে। রুটি বা এ ধরনের খাবারে ইস্ট দেওয়া হয়। অনেকসময় এই গ্যাস কমতে সাতদিনেরও বেশি সময় লাগে। অপরদিকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া গ্যাস তৈরি করে না।

দ্বিতীয় দিন

হজমে সহায়তা করুন— খাওয়ার আগে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন। ভালো করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। আর তাড়াহুড়া করে না খেয়ে আরামদায়ক পরিবেশে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা ভালো। টাটকা খাবারের গন্ধ পাকস্থলিতে হজম রস নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৩০ভাগ বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার ভালোমতো হজম হয়। ঠিকমতো হজম না হলেও গ্যাস তৈরি হয়ে পেট স্ফীত হয়ে যায়। তাই সবসময় ভালো টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

তৃতীয় দিন

চিনির পরিমাণ কমান— রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ও খাবারে ব্যবহৃত চিনি অনেক সময় পেটে গ্যাস তৈরি করে। হোয়াইট পাস্তা, রুটি, বেইক করা খাবার, যেমন: কেক, বিস্কুট ও পেস্ট্রি থেকে দূরে থাকুন।

চতুর্থ দিন

আশযুক্ত খাবার বেশি খান— হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের সবজি খাওয়া শুরু করুন। শরীরের বর্জ্য ঠিকমতো বের হতে না পারলেও গ্যাস তৈরি হয়। রোল ওটস, লিনসিডস বা ফ্ল্যাক্সসিডস, পাকাফল ও অ্যালার্জি মুক্ত সবজি (যেমন: গাজর, বিভিন্ন ধরনের শাক ও লেটুসপাতা), এসব হজমে সহায়ক খাবার।

পঞ্চম দিন

বাড়িতে তৈরি হাড়ের স্টক পান করুন— সুপ তৈরিতে মুরগির হাড়ের স্টক বা হাড় গরম পানিতে ফুটিয়ে যে তরল তৈরি করা হয়, তা প্রতিদিন এককাপ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। যা শরীরে নতুন কোষ তৈরিতে সহায়ক। খাবার হজম হওয়ার পর সেখান থেকে নতুন কোষ তৈরি হতে সাধারণত ৫দিন সময় লাগে। অ্যামাইনো অ্যাসিড এই প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সহায়তা করে। তাই সাতদিন শেষে যখন বন্ধের দিন আসবে, তখন সুস্থ শরীরে ছুটি কাটাতে পারবেন।

ষষ্ঠ দিন

দানাদার খাবার বাদ— ডাল, মটরশুঁটি, সিমের দানা, মটরজাতীয় খাবার অনেক সময় পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই রাতে হজমে আরামের জন্য এই ধরনের খাবার খাওয়া বাদ দিন।

সপ্তম দিন

আরাম করুন— হজমের কার্যক্ষমতা বাড়াতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেয় মানসিক চাপ। যা জীবনযাপনে প্রভাব ফেলে, ঘুম কম হয়। তাই দিনের কিছু সময় ‘রিল্যাক্স’ করুন। হতে পারে সেটা বই পড়া, ইয়োগা, মেডিটেশন বা ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে একটা আরামদায়ক গোসল।