রুটি মেইকার

ব্যস্ত নগর জীবনে রুটি বানানো বেশ ঝামেলার কাজ। সকালের নাস্তায় অনেকের রুটি না হলে চলেই না। আর ডায়াবেটিস রোগীদেরতো স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সকাল রাতে, দুই বেলায়ই রুটি খেতে হয়।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2014, 03:31 AM
Updated : 10 June 2014, 01:33 PM

রুটি বানানোর জন্য বাজারে রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রুটি মেইকার। এই যন্ত্রের দাম কেমন, ঠিকমতো কাজ করে কিনা ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর জানা নেই অনেকেরই।

রুটি মেকারের সাম্প্রতিক দাম, কাজ এবং সেগুলোর কার্যক্ষমতা নিয়েই এই আয়োজন।

অন্যান্য পণ্যেরমতো বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রুটি মেইকার। এছাড়া দেশি রুটি মেইকারও আছে।

দেশের রুটি মেইকারটি তৈরি করেছেন হুমায়ুন কবীর। এটি আসলে ছোট কাঠের একটি যন্ত্র। নাম লাইবা রুটি মেইকার।

দেশীয় এ রুটি মেকারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, রুটি তৈরি সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও মেশিনটি দিয়ে রুটি তৈরি করা সম্ভব। শুধু এর হাতল ধরে চাপ দিলেই সিদ্ধ আটার গোলা রুটিতে পরিণত হয়।

এটা চালাতেও বিদ্যুতের কোনো প্রয়োজন পড়ে না।

তিন ধরনের লাইবা রুটি মেইকার পাওয়া যায়। ধরণভেদে এই হস্ত চালিত রুটি মেইকারের দাম ৩ হাজার ৮শ’ টাকা, ৫ হাজার ৫শ’ টাকা ও ৭ হাজার টাকা। তবে অন্যান্য রুটি মেকারেরমতো এতেও রয়েছে সুবিধা এবং অসুবিধা।

সুবিধা

১. সিদ্ধ ও কাঁচা আটার রুটি খুব ভালো হয়।

২. সিদ্ধ চালের গুঁড়ার রুটিও খুব ভালো হয়।

৩. দেশি ও বিদেশি রেসিপি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের রুটি তৈরি করা যায়।

৪. পাতলা রুটি হয়।

৫. বড় আকারের রুটি তৈরি করা যায়।

৬. বিদ্যুৎ খরচ নাই।

৭. আমাদের অভ্যস্ত স্বাদের রুটি তৈরি করা যায়।

অসুবিধা

১. রুটি সেঁকে দেয় না।

২. ১৫/২০ দিন পর পর রুটি-পেপারটি পরিবর্তন করতে হয়।

লাইবা রুটি মেইকার কিনতে চাইলে ekhanei.com এ সার্চ করে কেনা যাবে। অথবা ০১৭৩১৪৯৪৫০১ নম্বরে ফোন করে খোঁজ নেওয়া যাবে।

ইলেক্ট্রিক রুটি মেইকার।

বাজারের বিদেশি রুটি মেইকারগুলোর মধ্যে রয়েছে মিয়াকো, জায়পান, ঈগল, ম্যাজেস্টিক, কমেট এবং গ্রিন অ্যাপল।

এছাড়া রয়েছে র‌্যাংগসের রুটি মেইকার।

রাজধানীর চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের দোকানগুলোতে পাওয়া যাবে এই রুটি মেইকারগুলো। মডেল ও নামভেদে রুটি মেইকারগুলোর দামে পার্থক্য রয়েছে।

র‌্যাংগসের রুটি মেইকার কিনতে খরচ পড়বে ৩ হাজার ৫৫০ টাকা।

সিডিসহ মিয়াকো রুটি মেইকারের দাম ২ হাজার ৫শ’ থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। জায়পান রুটি মেইকারের দাম পড়বে ১ হাজার ৯শ’ থেকে দুই হাজার ৮শ’ টাকা।

এছাড়া ২ হাজার ৫শ’ টাকাতেই পাওয়া যাবে ম্যাজেস্টিক রুটি মেইকার। অন্যদিকে ঈগল রুটি মেইকারের দাম পড়বে ২ হাজার ৩শ’ টাকা।

স্বল্পদামে রুটি মেইকার কিনতে চাইলে আছে গ্রিন অ্যাপল, দাম ১ হাজার ৪শ’ টাকা।

তবে রুটি মেইকারগুলো অনেকসময় ঠিকমতো কাজ করে না বলেই জানিয়েছেন নিউ সোনারগাঁ এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার মো. সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “ভালো মানের রুটি মেকারের দাম পড়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকারমতো। এতো দাম দিয়ে রুটি মেইকার কেনারমতো গ্রাহক না থাকায় আমরা ভালো রুটি মেইকারগুলো আনি না।”

বিদেশি ব্র্যান্ডের রুটি মেইকারগুলোর সুবিধা এবং অসুবিধা পাঠকদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হল।

সুবিধা

১. রুটি সেঁকে দেয়।
 

অসুবিধা

১. একটা সময় পর ননস্টিক গুণ হারায়।

২. দ্রুত কয়েল নষ্ট হয়ে যায়।

৩. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নয়।

৪. রুটি মোটা ও ছোট হয়।