মের মধ্যে মস্তিষ্কের কোষগুলো কীভাবে পড়া মনে রাখতে কাজ করে তা বের করেছে নিউ ইয়র্কের এনওয়াইইউ ল্যানগন মেডিকেল সেন্টারের গবেষকগণ।
গবেষণায় জানা গেছে, ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্কের কোষগুলো একটি অপরটির সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। আর এতে করে মস্তিষ্কের তথ্য আদান প্রদান সহজ হয়।
তাছাড়া পড়াশুনার পর গভীর ঘুম বা হালকা ঘুম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে জানিয়েছেন এনওয়াইইউ-এর একজন গবেষক। পড়াশুনার পরই ঘুম মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্স-এ পরিবর্তন আনতে পারে। এই মটর কর্টেক্স মস্তিষ্কের অংশ, যা মস্তিষ্কেরই সেচ্ছা নাড়াচাড়া নিয়ন্ত্রণ করে।
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেন বেশকিছু ইঁদুর। দুটি ভাগে ইঁদুরগুলোকে ভাগ করা হয়। একভাগ ইদুঁরদের একটি ঘুরন্ত রডের উপর একঘন্টা হাঁটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর তাদের সাত ঘন্টা ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়।
অন্যভাগের ইঁদুরদের একই পরিমাণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে তাদের পরবর্তী সাত ঘন্টা ঘুমাতে দেওয়া হয় না।
এরপর দুইভাগ ইঁদুরের মস্তিষ্ক বিশেষ লেজার স্ক্যানিং মাইক্রোস্কোপ দিয়ে গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন। এর মাধ্যমে তারা মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্সে প্রোটিনের প্রবাহের উপর গবেষণা চালান। আর ইঁদুরের মস্তিষ্কের কোষগুলোর ছবি তুলেন।
গবেষকরা দেখতে পান, যে ইদুঁরগুলো ঘুমায়নি সেগুলোর তুলনায় প্রথম দলের ইদুঁরগুলো সহজে ঘুরন্ত রডে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
অর্থাৎ রাত জেগে পড়লেই তা মস্তিষ্কে ধারণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। পড়াশুনার পাশাপাশি তা মনে রাখার জন্য মস্তিষ্ককে বিশ্রামও দিতে হবে। আর এ জন্য ঘুম অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও দরকার পরিমিত ঘুম।