ঝলমলে ত্বক লাভের উপায়

গায়ের রং যাই হোক, নিজেকে আকর্ষণীয় আর সুন্দর করতে চাই উজ্জ্বল ত্বক।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2014, 03:14 AM
Updated : 31 May 2014, 05:38 AM

সৌন্দর্য চর্চার জন্য রয়েছে প্রসাধনী সামগ্রী। অনেকসময় ত্বক উপযোগী সঠিক পণ্য বাছাই করা কঠিন হয়ে যায়। তাই ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়াই ভালো।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য গ্ল্যামএনগ্লোরি ডটকম অবলম্বনে সৌন্দর্য চর্চার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এখানে দেওয়া হল।

দুধের সর

চোখের নিচে কালি দূর করতে অতুলনীয়। মুখের যেসব জায়গায় কালো ছোপ ছোপ দাগ আছে এবং চোখের আশপাশে দুধের সর দিয়ে ১০ মিনিট মালিশ করুন। তারপর লেবু ঘষে তৈলাক্ত ত্বক থেকে রেহাই পেতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

লেবুতে আছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা ত্বক উজ্জ্বল করে। বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপ আঁটসাঁট করতে কাঁচাদুধের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান।

শুষ্কত্বক চর্চার জন্য লেবুর রসের সঙ্গে মধু, বেসন ও দুধের সর দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দুধের সরের পরিবর্তে শসা ব্যবহার করুন। বাকি উপাদান একই থাকবে।

লেবু

ত্বক উজ্জ্বল করতে লেবু দারুণ কাজ করে। কালিমা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উপর জমে থাকা মড়া চামড়া, ‘ব্ল্যাকহেডস’, ‘হোয়াইটহেডস’ এবং ব্রণের সমস্যা সমাধান করে। একটি লেবুর অর্ধেক কেটে প্রতিদিন ১০ মিনিট মুখে মালিশ করুন। এতে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। আরও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য লেবুর সঙ্গে অল্প পরিমাণে গায়ে মাখাহলুদ ব্যবহার করতে পারেন।

লেবু ও চিনি

ত্বক চর্চা জন্য লেবু-চিনি মেশানো ফেইশল মাস্ক খুবই প্রচলিত পদ্ধতি। পরিষ্কার ও মশৃণ ত্বকের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারে। মুখ থেকে গলা পর্যন্ত এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালোভাব দূর হবে।

মুখে আদ্রভাব বজায় রাখতে এই মিশ্রণে অল্প পরিমাণে অলিভ ওয়েল দিতে পারেন। হাত ও পায়ের রোদে পোড়াভাব দূর করতেও এই মিশ্রণ কার্যকর।

বাটারমিল্ক

দুধ-ছানার পানি বা ঘোল-এ রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা বিভিন্ন দামী প্রসাধনী সামগ্রীতে থাকে। ফেইশলের উপদান হিসেবে এটা খুবই কার্যকর। ত্বক চকচকে ও নরম রাখতে সাহায্য করে।

এর কিছু প্রাকৃতিক উপাদান শুধু চামড়ার বয়সের দাগ বা ছুলি নিরাময় করে না, পাশাপাশি ত্বকে নিয়ে আসে টানটানভাব।

ত্বকের আক্রান্ত এলাকায় তুলা দিয়ে বাটারমিল্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুমগরম পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বক পেতে এটা যাদুরমতো কাজ করবে।

বলিরেখা ও চামড়ার খসখসেভাব দূর করতে এক চামচ বাটারমিল্কের সঙ্গে এক চামচ মূলার রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। রোদেপোড়াভাব দূর করতে পাঁচ টেবিল-চামচ বাটারমিল্কের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।

মুখের কালো দাগ দূর করতে শুকনা কমলার খোসাগুঁড়ার সঙ্গে বাটারমিল্ক মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

কলার মাস্ক

এই মাস্ক তৈরি করতে কলার সঙ্গে মধু ও লেবু অথবা কমলার রস মেশাতে হবে।

আগে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর কলার সঙ্গে মধু ও কয়েক ফোঁটা কমলা বা লেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট পর আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

পানি

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দীপ্তময় ত্বকের জন্য সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

ছবির মডেল: টিনা।

ছবি সৌজন্যে: অপূর্ব খন্দকার