ফ্রিজ হওয়া চাই শুষ্ক
শহুরে জীবনে গরমকালে পেটের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ অপরিষ্কার ফ্রিজ। ব্যস্ত গৃহিণীরা আজকাল সপ্তাহ খানেকের খাবার একসঙ্গে রান্না করে ফ্রিজে রাখেন। তারা জানেন না, এই খাবার দুই দিনের মাথায় নষ্ট হয়ে যায়। জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া। তবে একটি পরিষ্কার ফ্রিজ এই ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে অনেকখানি। আর সেজন্য যেসব কৌশল অবলম্বন করতে পারেন-
রক্ষণাবেক্ষণের ওপরেই নির্ভর করে ফ্রিজ আপনার খাবার কীভাবে সংরক্ষণ করবে। যেনতেন ভাবে ফ্রিজ ব্যবহার না করাই ভালো। আজকাল অনেক ফ্রিজে ‘ডিওডোরাইজার’ থাকে, যা খাবারের মান তো নষ্ট করেইনা বরং ফ্রিজটি রাখে দুর্গন্ধ মুক্ত। আর ফ্রিজের দরজায় খাবার পানির বোতল রাখলে দরজার তাক ঝুলে যেতে পারে। এতে করে ফ্রিজে বাতাস ঢোকে। যার ফলে ভেতরটা ঠিকমত ঠান্ডা হতে পারে না। এতে খাবার নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজের দরজার তাকে পানির বোতাল বা ভারী কিছু রাখবেন না। অনেক ফ্রিজেই ডালা না খুলে পানি ও বরফ বের করার ব্যবস্থা থাকে। তাই ফ্রিজ কেনার আগে এসব বিষয় খেয়াল করে নেয়া উচিত।
ওভেনের যত্ন নিন
রন্ধন শিল্পী কেকা ফেরদৌসী বলেন, “যদি প্রতিদিন ওভেন ব্যবহার করা হয় তাহলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন পুরো ওভেন ফ্রিজের মতো আলাদা অংশগুলে খুলে পরিষ্কার করা দরকার। লিকুইড সোপ বা তরল সাবান ছাড়াও বাজারে ‘ওভেন ক্লিনার’ পাওয়া যায়। প্রয়োজনে সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। শুধু ওভেন নয়, এতে ব্যবহৃত বাটি, ভেতরে বসানো পেয়ালাও পরিষ্কার রাখুন সমানভাবে। ওভেনের ভেতর খাবারের ছিটেফোঁটাও যেন পড়ে না থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।”
ফ্রিজ, ওভেন বা যেকোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র পরিস্কার করার সময় অবশ্যই যন্ত্রটির বৈদ্যুতিক সংযোগ তারটি প্লাগ থেকে খুলে রাখবেন।
মডেল: বৈশাখী
আলোকচিত্র: অপূর্ব খন্দকার