মানব শরীরের সুস্থতা রক্ষায় আঁশজাতীয় খাবারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানান বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা।
তিনি বলেন, “খাদ্য আঁশ কোনো পুষ্টি উপাদান নয়, কিন্তু স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।”
* খাওয়ার পর অন্যান্য খাবারের সঙ্গে খাদ্যআঁশ মিশে মল বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। মলাশয়ের নানা রকমের রোগ যেমন- অর্শ, কোলাইটিস ইত্যাদি প্রতিরোধে এটা সাহায্য করে।
* আঁশ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
* স্থূলকার ব্যক্তিদের জন্য আঁশজাতীয় খাবার বেশি উপযোগী। এটা দীর্ঘক্ষণ পেটে থাকে ফলে ক্ষুধা কম লাগে। এতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* খাদ্যআঁশ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। তাই ডায়াবেটিস আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য খাদ্যআঁশ বেশ উপকারি।
* আঁশজাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নানা রকমের রোগ যেমন- পিত্তথলির রোগ, মলাশয়ের ক্যানসার, অর্শ, হৃদরোগ, স্থূলতা ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে।
সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দৈনিক ৩০ গ্রাম খাদ্য আঁশ প্রয়োজন। শস্য, শাকসবজি ও খোসাসহ ফল থেকে আঁশ গ্রহণ করা ভালো। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা বাড়ানো প্রয়োজন।
আঁশের সবচেয়ে ভালো উৎস হল- শস্য, শস্যজাতীয় খাবার, শাকসবজি, খোসাসহ ফল, ডাটা ইত্যাদি। এছাড়াও ডাল, বাদাম, বীজ, শুকনা ফল, জিরা, ধনে, মটরশুঁটি ইত্যাদিতে উল্ল্যেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্যআঁশ পাওয়া যায়।
বিভিন্ন খাদ্য থেকে প্রাপ্ত আঁশের পরিমাণ-
শস্য ও এই ধরনের খাবারে আট থেকে ১৫ শতাংশ, খোসা ছাড়ানো ডালে আট থেকে ১০ শতাংশ, শাকসবজিতে ১.৩ থেকে ৭.৮ শতাংশ, ফলে ১.৪ থেকে ৩.৬ শতাংশ, শুকনা ফলে ৯.৫ থেকে ১৪.৫ শতাংশ, চীনাবাদামে ৯.৩ থেকে ১০ শতাংশ, মটরশুঁটিতে ৭.১ থেকে ৭.৫ শতাংশ খাদ্যআঁশ পাওয়া যায়।
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবার যোগ করার পরামর্শ দেন ফারাহ মাসুদা।