পুষ্টিবিজ্ঞানে এরকম খাবারগুলোকে বলা হয় ‘ইনসমনিয়া’ বা অনিদ্রার খাবার।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে নিদ্রা হারানোর খাবারের শ্রেণিগুলো দেওয়া হল।
ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে অপ্রয়োজনীয় কর্মশক্তি সরবরাহ করে। ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। তখন বিছানায় শুয়ে ‘ঘুম আসে না রে’ গানটি গাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না।
ভিটামিন সি’র উৎস হলেও রাতে লেবু, জাম্বুরা, কমলা ইত্যাদি টকফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই ধরনের ফল ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।
বহু গবেষণাতেই দেখা গেছে, অ্যালকোহল গ্রহন করলে রাতের প্রথমাংশে গভীর ঘুম হলেও দ্বিতীয়াংশে ব্যাঘাত ঘটায়।
অন্ত্রে অস্বস্তি সৃষ্টি করে ঝালজাতীয় খাবার। আর পেটে অস্বস্তি নিয়ে ঘুমানো যায় না। তাই রাতে ঝাল খাবার খাওয়া অনিদ্রার একটি অন্যতম কারণ। আর অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার কারণে অন্ত্রে আলসার এবং বুকে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
এই ধরনের চকলেটে প্রচুর ‘ক্যাফেইন’ থাকে, যা ঘুম তাড়ায়। আরও থাকে ‘থিওব্রোমাইন’, যা শরীরের উপর ‘ক্যাফেইন’য়ের মতোই প্রভাব ফেলে।
‘ক্যাফেইন’য়ের সবচাইতে পরিচিত উৎস, যা আমাদের ঘুম তাড়িয়ে শরীরকে সতর্ক রাখে। কফি বেশি পান করলে শরীর মুত্র উৎপাদনও বাড়ে।
আর আপনি নিশ্চয় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টয়লেট যাবেন না।
তাই কর্মব্যস্ত দিন শেষে শান্তির ঘুম দিতে রাতে এই ধরনের খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।