‘আর্কাইভস অফ সেক্সুয়াল বিহেইভিয়র’ নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় আরও বলা হয়, “যে পুরুষের মুখের আদল চারকোনা কিংবা চওড়া তাদের যৌনক্ষমতা বেশি, বহু নারীর সঙ্গে অস্থায়ী শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে তাদের আপত্তি কম, এমনকি সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করতেও বিবেকের তাড়না তারা অনুভব করেন কম।”
তবে শুধু পুরুষ নয় নারীদের ক্ষেত্রে এই গবেষণা বলছে, “ছোট অথচ চওড়া চেহারার নারীদের যৌনক্ষমতা বেশি। আর শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে তাদের আড়ষ্টতা কম।”
গবেষষণাটির প্রধান গবেষক, কানাডার ওন্টারিওতে অবস্থিত নিপিসিং ইউনিভার্সিটি’র স্টিভেন আর্নকি বলেন, “এই তথ্যগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, একজন মানুষের মুখের গড়ন তার যৌনাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে।”
এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত আগের একটি পর্যালোচনা যুক্ত করে বলা হয়, নির্দিষ্ট কিছু মানসিক ও আচরণভিত্তিক বিষয় মানুষের মুখের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পদ্ধতির নাম ‘ওয়াইড-টু-হাইট রেশিও’ বা এফডব্লিউএইচআর।
শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন যেমন বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে ‘টেস্টোস্টেরন’ হরমোনের মাত্রায় তারতম্য ঘটলে মুখের আদলে কী ধরনের পরিবর্তন আসে তা পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
পরিণত বয়সে যৌনমিলনের প্রতি একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে এই হরমোন।
এই গবেষণার ফলাফলে আর্নকি ও তার সহকর্মীরা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে করা দুটি পৃথক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন।
প্রথমটিতে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ আছেন ১৪৫ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী নিজেদের ব্যক্তিগত আচরণ এবং যৌনক্ষমতা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
অংশগ্রহণকারীদের চেহারার দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাত জানতে নেওয়া হয় তাদের ছবি।
দ্বিতীয় গবেষণায় অংশ নেয় ৩১৪ জন শিক্ষার্থী এবং এটি ছিল প্রথম গবেষণার আরও বিস্তারিত সংস্করণ।
এখানে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করা হয় তাদের যৌন অভিযোজন অর্থাৎ সঙ্গমের জন্য কোন লিঙ্গের মানুষ তাদের পছন্দ, কোন পরিস্থিতিতে তারা সঙ্গীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে ইচ্ছুক এবং কারও সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছাড়াই যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়াকে তারা কীভাবে দেখেন?
আর্নকি বলেন, “সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি নেই এমন কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে অংশগ্রহণকারীরা কতটা সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তা আবিষ্কার করাই ছিল দ্বিতীয় গবেষণার উদ্দেশ্য।”
নারী ও পুরুষের মুখের আদলে যাদের এফডব্লিউএইচআর যত বেশি তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা তত বেশি।
ছবি: রয়টার্স।