ওজন কমাতে সহায়ক খাবার

দেহের বাড়তি ওজন ঝরাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন। এই পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে যদি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন না আনা যায়। তাই চর্বি পোড়ানোর পাশাপাশি সহায়ক খাবারও খেতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2017, 05:58 AM
Updated : 3 Sept 2017, 06:22 AM

এই বিষয়ে প্রকাশিত স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে ওজন কমাতে সহায়ক কিছু খাবারের তালিকা এখানে দেওয়া হল।

আস্তডিম

রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অল্প পরিমাণ ক্যালরি যা পেট দীর্ঘসময় ভরা রাখে। ডিম পুষ্টি উপাদানে ঠাঁসা।  শরীরের ঠিক যতটুকু পুষ্টি প্রয়োজন হয় সেটুকুই পাওয়া যায় এই খাবার থেকে। কম ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে ডিম বেশ আদর্শ।

সিদ্ধ আলু

ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় আলু বেশ সহায়ক। তাছাড়া স্বাস্থ্যের জন্যও এটি বেশ উপকারী। একেকটি খাবার খাওয়ার স্বাদ এবং তা খাওয়ার পর পেট ভরা অনুভূত হওয়ার মধ্যে তারতম্য রয়েছে। এরমধ্যে সিদ্ধ আলু খেলে অল্পতেই পেট ভরে যায় এবং অনেকটা সময় ক্ষুধা লাগে না। তাই বেশি খাওয়ার প্রয়োজনও হয় না।

আলুতে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ এবং আঁশ থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ওজন কমাতে সহায়ক।

অ্যাভোকাডো

স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর অ্যাভোকাডো।  রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ‘মোনোআনস্যাচারেইটেড অলিক অ্যাসিড’ যা পাওয়া যায় জলপাই তেলে।

এ কারণে সালাদ তৈরিতে অ্যাভোকাডো ব্যবহার করা উপযুক্ত। এতে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায় প্রায় ১৫ গুণ।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার

কার্বোহাইড্রেইড সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে খানিকটা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিলে জলদি পেট ভরে যায় বলে খাওয়ার পরিমাণও কমে আসে। তাছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ে যারা সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্যও এই ভিনিগার বেশ উপকারী। কারণ খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি বেশ কার্যকর।

মরিচ

এর ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান ক্ষুদা কমায় এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। তাই লালমরিচ খেলে কিছুক্ষণ পরপর ক্ষুদা লাগার সমস্যা কমে আসে।

এছাড়া মরিচসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা ক্লান্তিভাব কাজ করে না তেমন একটা।

ছবি: রয়টার্স।