তবে কোরবানির ঈদের সময় কাজের চাপ বেশি থাকে বলে না খেলেও মাংস ধরতে হয়। যাদের মাংসে অ্যালার্জি তাদের কাজ করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
এ ব্যাপারে কী করণীয় জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা রাশেদ মাহমুদ খান বলেন, “সাধারণত যাদের গরুর মাংসে অ্যালার্জি আছে তাদের ত্বকে র্যাশ চুলকানি ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তাদের মাংস না ধরাই উচিত।”
“তবে কোনো কারণে যদি মাংসের কাজ করাই লাগে তাহলে হাতে গ্লাভস পরে নিতে হবে। এরপরও যদি কারও র্যাশ দেখা দিয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম ব্যবহার বা ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।”
অনেকে অ্যালার্জির ভয়ে আগে ওষুধ খেয়ে তারপর কাজ করেন। এতে হয়ত তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়া যায়। তবে পরে ঠিকই সমস্যার সৃষ্টি করে।
এই বিষয়ে প্রকাশিত স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের পরামর্শ অনুযায়ী, সাধারণত মাংস কাটার পরে ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে বিশেষ পরিচর্যার ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে বেশি পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এতে মাংসের গন্ধও দূর হবে।
শুধু ধরা নয়, অনেক সময় দেখা যায়, কখনও অ্যালার্জির সমস্যা ছিল না তবে হঠাৎ করে মাংস থেকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এক্ষেত্রে লক্ষণগুলো হল
* ত্বকে দানা বা র্যাশ (ফুসকুড়ি) ওঠা। * বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। * নাক দিয়ে পানি পড়া। * হাঁচি হওয়া। * মাথাব্যথা। * শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা। * অ্যালার্জির কারণে দম বন্ধ হয়ে যাওয়া, যাকে বলা হয় ‘অ্যানাফেলাক্সিস’।
করণীয়
মাংস খাওয়ার পর উপরের যে কোনো একটি বা কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে মাংসে অ্যালার্জি রয়েছে।
এক্ষেত্রে সাধারণত অ্যান্টিহিস্টামিন্স এবং কর্টিকোস্টারয়েডস-জাতীয় ওষুধ দিয়ে সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়া মাংস খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
ছবি: রয়টার্স।