যুক্তরাষ্ট্রের পেনসালভেনিয়া’র ‘দ্য কার্নেইগি মেলন ইউনিভার্সিটি’র মনোবিজ্ঞানীদের দাবির উপর ভিত্তি করে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
“সঙ্গী সহযোগী হলে মানুষ ঝুঁকি নেওয়ার সাহস পায়। আর ঝুঁকি নেওয়ার সৎ সাহসই মানুষের জীবনে বয়ে আনে সফলতা, সুখ-সাচ্ছন্দ্য, মানসিক শান্তি এবং সুসম্পর্ক।” পর্যবেক্ষণ থেকে এই সিদ্ধান্তে আসেন গবেষকরা।
গবেষণার প্রধান গবেষক, কার্নেইগি মেলন ইউনিভার্সিটি’র মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ব্রুক ফিনি বলেন, “নতুন চাকরির চেষ্টা, নয়া বন্ধুত্ব গড়া ইত্যাদি জীবনের বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মানুষ কোন সিদ্ধান্তটা নেয় তার উপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে তার ভালো থাকা।”
গবেষণার জন্য ১৬৩টি বিবাহিত যগুলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবং প্রতি যুগলের একজনকে দুটি সুযোগ থেকে একটি বেছে নিতে বলা হয়।
একটি হল ধাঁধাঁর সমাধান করা, অপরটি হল বক্তৃতা দিয়ে পুরষ্কার জেতা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দম্পতিদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
দেখা যায়, সহযোগিতা ও উৎসাহ যোগায় এমন সঙ্গী আছে যাদের তারা পুরষ্কার জেতার সুযোগ নিয়েছেন। তবে যাদের সঙ্গীদের আত্মবিশ্বাস কম এবং সঙ্গীকে যারা নিরুৎসাহীত করেন তাদের সঙ্গীরা শুধু ধাঁধার সমাধান করেই ক্ষান্ত দেন।
ছয় মাস পরে ওই দম্পতিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ধাঁধা সমাধানকারীদের তুলনায় যারা বক্তৃতা দিয়ে পুরষ্কার জেতার সুযোগ নিয়েছিলেন তারা জীবনে সফলতা পেয়েছেন কিংবা সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এ থেকে প্রশ্ন জাগতে পারে, সঙ্গীকে উৎসাহীত করতে কী করা যায়?
গবেষকরা বলছেন, সহযোগী সঙ্গীরা একে অপরের প্রতি জীবনে আসা সুযোগগুলোর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তার উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন এবং কী ধরনের সফলতা আসতে পারে- সেগুলো বুঝিয়েছেন।
ফিনি বলেন, “জীবনে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করার পেছনে সঙ্গী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আপনার স্বামী কিংবা স্ত্রী আপনাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে আবার টেনে মাটিতেও ফেলে দিতে পারে।”
‘পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোশাল সাইকোলজি বুলেটিন’ শীর্ষক জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।