খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ভারতের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিভাকর’য়ের লেখা ‘উইমেন অ্যান্ড দ্যা ওয়েইট লস তামাশা' বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘পনির ত্বকের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে এবং এটা ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।’
বইতে এই পুষ্টিবিদ পরামর্শ দিয়েছেন যে, ‘মধ্যবেলার নাস্তা হতে পারে পনির। যদিও প্রতিদিন খাওয়া উচিত না, তবে দৈনিক অল্প পরিমাণে খেলে ভালো হবে। এমনকি ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে শিশুদের প্রতিদিন পনির খাওয়ানো উচিত।’
তাহলে পনির বা ‘চিজ’ ভালো না খারাপ বরং ভালোভাবে জেনে নিন।
খারাপ দিক
* বেশি লবণাক্ত পনির শরীরের জন্য ভালো না। কারণ লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। যা আপনার ক্ষতি করতে পারে।
পনিরে সোডিয়াম এবং এতে লবণের মাত্রা বেশি থাকে যা রক্ত চাপ বাড়ায়। এটা অনেকের জন্য ক্ষতিকারক।
* ‘স্যাচারেইটেড ফ্যাট’য়ে পূর্ণ বলে বাড়াতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি।
* বেশিচর্বি ও উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার পনির। প্রতি ১০০ গ্রাম পনিরে ৩৩০ থেকে ৪৫০ ক্যালরি পাওয়া যায়। যা শরীরচর্চার মাধ্যমে কমানো বেশ কষ্টকর।
ভালো দিক
* পনিরে এক ধরনের প্রোটিন রয়েছে যা দাঁতে ‘ক্যাভিটিজ’ জমা থেকে রক্ষা করে।
* ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এক আউন্স পনিরে চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
* পনির প্রোটিন সমৃদ্ধ যা পেশী ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া কলাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ছবি: রয়টার্স।