নিজে তৈরি করতে চাইলে ফেইসবুকের ‘নওরিন’স কুকিং ওয়ার্ল্ড’ পেইজের তাসনুভা রোজ নওরিনের রেসিপি অনুসরণ করতে পারেন।
উপকরণ: বড় লইট্টা মাছ ৫/৬টি। লাল মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চামচ। আদাবাটা ১/৪ চা-চামচ। রসুনবাটা ১/৮ চা-চামচ। লবণ আধা চা-চামচ বা স্বাদ মতো। লেবুর রস ২ চা-চামচ। ময়দা আধা কাপ। কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ। সুজি ১ টেবিল-চামচ।
পদ্ধতি: মাছে লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নেবেন। এবার ছুরি দিয়ে খুব সাবধানে মাঝ বরাবর কেটে ‘ফিলেট’ আকারে করে নিন।
মাছগুলো টিস্যু দিয়ে হালকা হাতে চেপে চেপে পানি মুছে নিন যেন সব মসলা মাখানোর পর গায়ে লেগে থাকে।
এবার একটা বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার ও সুজি বাদে বাকি সব মসলা মেশান।
কোনো পানি দেবেন না। লেবুর রসে মসলা মিশে যাবে। যদি না মেশে তখন সামান্য পানি দেবেন। তবে মসলা যেন পাতলা হয়ে না যায়, মাখা মাখা রাখতে হবে।
এবার একে একে মাছের গায়ে মসলা মেখে ফ্রিজে এক ঘণ্টা রেখে দিন। যদি সময় কম থাকে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রাখুন।
পাত্রে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, সুজি ও একটু সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন।
ননস্টিক প্যানে ভাজার মতো মতো তেল দিন। তবে ডুবো তেল না।
তেল খুব ভালো মতো গরম করুন। মাছগুলো ময়দায় খুব ভালো মতো মাখিয়ে নিন। এবার একটা হালকা হাতে ঝারা দিন যেন বাড়তি ময়দা ঝরে যায়।
এবার দুপাশ হয়ে আসলে একটা টুথপিক ঢুকিয়ে পরখ করতে পারেন মাছ হয়েছে কিনা। মাছ হলে টুথপিকের সঙ্গে মাছ লেগে আসবে না।
মাছ তুলে টিস্যু পেপারে নিয়ে রাখুন। একইভাবে প্রথমে চুলার আঁচ বাড়ানো থাকবে পরে কমিয়ে দিয়ে অল্প আঁচে সবমাছ ভাজতে হবে।
আর তেলে সুজি-ময়দার যে পোড়াটা বের হবে সেটা একপাশ করে তুলে নিতে হবে। যাতে মাছটা কালো হয়ে না যায়। এভাবে করলে মাছগুলো সোনালি ও মচমচে ভাজা হবে।
পরিবেশন করতে পারেন খিচুড়ি, পোলাও বা সাদা-ভাতের সঙ্গে।