এই আবহাওয়ায় প্যান্ট বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন কাপড়ে তৈরি প্যান্ট বেছে নেওয়া জরুরি। নয়তো দীর্ঘসময় পরে থাকার ফলে পা ঘেমে র্যাশ বা ঘামাচি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
সাজসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই আবহাওয়ায় জিন্সের বিকল্প হিসেবে পরা যেতে পারে এমন কিছু প্যান্টের বিষয় তুলে ধরা হয়।
ড্রেইপ্ড প্যান্ট: ধুতি-পাজামা কিছুদিন আগেও বেশ জনপ্রিয় ছিল। তবে হালফ্যাশনে অতিরিক্ত ঢোলা এবং কুঁচি দেওয়া ধুতি-পায়জামার চল না থাকলেও এই ধাঁচের কিছু প্যান্ট বাজারে স্থান করে নিয়েছে। উপরে কুঁচি এবং ঢোলাঢালা নিচে চাপা স্টাইলের প্যান্টগুলো এই গরমে বেশ আরামদায়ক। ‘ড্রেইপ্ড প্যান্ট’ হিসেবেই বেশি পরিচিত এই প্যান্টগুলো। ফতুয়া, শার্ট বা শর্ট টপসের সঙ্গে এই ধরনের প্যান্ট বেশ মানানসই। এছাড়া ঢোল পায়জামা, হেরম ইত্যাদি প্যান্টও হাল-ফ্যাশনে জায়গা করে নিয়েছে।
সুতি প্যান্ট: গরমে সুতি প্যান্টের চেয়ে আরামদায়ক বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। জিন্সের আদর্শ বিকল্প হতে পারে সুতি কাপড়ে তৈরি নানান স্টাইলের প্যান্ট।
পালাজ্জো: নতুন কোনো ফ্যাশন নয়। আমাদের দেশে আগে বেলবটম প্যান্ট, ডিভাইডার সালোয়ারের চল ছিল। এখন একটু অন্যভাবে পালাজ্জো নামে পাশ্চাত্য ফ্যাশনের অনুকরণে সেই পুরানো ফ্যাশন উঠে এসেছে। কামিজ, কুর্তি, টপস বা শার্ট যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় পালাজ্জো। হাল ফ্যাশনে পালাজ্জোর স্টাইলেও এসেছে ভিন্নতা।
প্রিন্ট, স্কার্ট স্টাইল, ডাবল লেয়াল বিভিন্ন ধরনের পালাজ্জো বাজারে এখন বেশ সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। আর ঢোলাঢালা হওয়ায় গরমে বেশ আরামদায়ক। গরম বৃষ্টি বুঝে বিভিন্ন কাপড়ে তৈরি পালাজ্জো বেছে নেওয়া যেতে পারে।
জগার প্যান্ট: নামটা শুনে ব্যায়ামের কথা মাথায় আসলেও চাইলেই প্রতিদিনের পোশাকের সঙ্গে উপস্থাপন করা সম্ভব এই প্যান্ট। পাশ্চাত্যে সেলিব্রিটিদের মধ্যে এই প্যান্ট দৈনন্দিন পোশাক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। শার্ট বা ঢোলা টপসের সঙ্গে এই প্যান্ট মানিয়ে যায়।
প্রচ্ছদের ছবি : যাত্রা’র ফেইসবুক থেকে। অন্যান্য ছবি সৌজন্যে: লা রিভ।
আরও পড়ুন