খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদন থেকে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানা যায় যা অস্বাস্থ্যকর, কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে অভিনয় করে যাচ্ছে।
কলার চিপস
এতে কলার প্রায় সমপরিমাণ গুণাগুণ থাকে। কলার আঁশ, লৌহ, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপাদান কলার চিপসে পাওয়া যায়।
তারপরও প্রস্তুতকারীরা এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত সুগন্ধি ও চিনি মেশায় এবং অতিরিক্ত ভাজে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
বিকল্প উপায়: বাসায় ওভেনে কলার চিপস তৈরি করুন অথবা প্রথমে বাতাসে তা শুকিয়ে নিয়ে ভেজে নিন। রেসিপি জানতে ক্লিক করুন।
মচমচে রুটি বা বিস্কুট
বিকল্প উপায়: পণ্যের গায়ে লেখা প্রস্তুত প্রণালি দেখুন। ইস্ট, প্রক্রিয়াজাত আঁশ, সংরক্ষক দ্রব্য, রং অথবা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকা ঠিক নয়। উন্নত মানের 'ক্রিস্পব্রেড' গোটা শস্য অথবা মোটা গম দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।
গ্লুটেন বিহীন খাবার
বিকল্প উপায়: সাধারণ রুটি খান। খুব বেশি খাবেন না, তবে খেতে ভয়ও করবেন না। অর্থাৎ শরীরের প্রয়োজন মতো রুটি নির্দ্বিধায় খেতে পারবেন।
শুকনা ও মিষ্টি ফল
বিকল্প উপায়: বাসায় ফল শুকিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করুন। এটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তাছাড়া বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন শুকনা ফলের চেয়ে ঘরে শুকানো ফল বেশি উপকারী।
প্রক্রিয়াজাত পনির
বিকল্প উপায়: বিভিন্ন ধরণের লবণ যুক্ত পনির।
টিন বা বোতলজাত ফল ও সবজি
বিকল্প উপায়: চিনি, লবণ ও অন্যান্য সংরক্ষক ছাড়া উন্নতমানের টিনজাত ফল ও সবজি ব্যবহার করুন।
শ্বেতসার-জাতীয় সবজি
বিকল্প উপায়: শ্বেতসার-হীন খাবার যেমন- রসালো এবং সবুজ রংয়ের সবজি। এই খাবারগুলো সন্ধ্যা ছয়টার পর খাওয়া উপযোগী।
দই
বিকল্প উপায়: কম চিনি ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ দই বেছে নিন।
ওটমিল
ক্ষুদ্র টুকরা করা ওটমিল অনেক বেশি প্রক্রিয়াজাত হয়ে থাকে যা অতিরিক্ত ক্যালরি সরবারহ করে। তাছাড়া তাৎক্ষণিক-ভাবে তৈরি করা যায় এমন ওটমিল মিষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ, যা ক্ষতিকারক।
বিকল্প: বড় দানার ওটস খান। এটা রান্না করতে সময় বেশি লাগবে ঠিকই। তবে ওটসের প্রকৃত গুণাগুণ লাভ করতে পারবেন।
ছবি: রয়টার্স ও নিজস্ব।