রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, হাত ও নখ পরিচর্যা অর্থাৎ ম্যানিকিউর করার পর কিছু সাবধনতা অবলম্বন না করলে ফলাফল ভালো পাওয়া যায় না।
অতিরিক্ত পলিশ না করা: নখে গাঢ় রং পাওয়ার আশায় মোটা করে নেইলপলিশ লাগানোর মানেই হল ম্যানিকিউরের বারোটা বাজানো। অতিরিক্ত নেইলপলিশ লাগানো হলে সহজে শুকাতে চায় না এবং ছড়িয়ে যায়। তাই পাতলা করে নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। প্রয়োজনে প্রথম কোট পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় কোট লাগানো যেতে পারে।
গরম পানি এড়িয়ে চলুন: ম্যানিকিউরের ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী করতে অন্তত ছয় ঘণ্টা গরম পানি হাতে লাগানো যাবে না। যদি গরম পানির কোনো কাজ করতেই তাহলে ‘গ্লাভস’ পরে নিন।
অন্যদিকে ঠাণ্ডা পানি হবে উপকারী। ম্যানিকিউর শেষে পলিশ ভালোভাবে বসাতে দুএক মিনিট বরফ শীতল পানিতে নখ ডুবিয়ে রাখুন।
বোতল ঝাঁকাবেন না: প্রচলিত ধারণায় অনেকেই রং ভালোমতো মেশানোর জন্য নেইলপলিশ লাগানোর আগে বোতল ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নেন। তবে বোতল ঝাঁকানোর ফলে ভেতরে বুদবুদ তৈরি হয় যা নখে লাগানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি করে। তাই ভেতরের রং মিশিয়ে নেওয়ার জন্য না ঝাঁকিয়ে বরং দুহাতের তালুর মাঝে নিয়ে ডলে নেওয়া যেতে পারে।
বেইস কোট ব্যবহার করুন: মেইকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে শুরুতে যেমন ত্বক প্রস্তুত করে প্রাইমার ব্যবহার করতে হয়, তেমনি ম্যানিকিউরের পর নখে বেইসকোট প্রাইমারের কাজ করে। ভালো মানের বেইসকোট ব্যবহার করা হলে ম্যানিকিউরের সুফল অনেকদিন পাওয়া যায়।
বেইসকোট লাগানোর আগে রাবিং অ্যালকোহল বা সাদা ভিনিগারে তুলা ভিজিয়ে নখ মুছে নিন। এতে নখের উপর লেগে থাকা তেল পরিষ্কার হবে এবং বেইস কোট ও নেইলপলিশ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
কিউটিকল কাটা উচিত নয়: নখের চারপাশে চামড়ার অংশটি কিউটিকল নামে পরিচিত। আর এই অংশ বেড়ে গেলে সাধারণত কেটে ফেলা হয়। তবে এটি মোটেও ঠিক নয়। কারণ অসাবধানতায় বেশি পরিমাণে কেটে গেলে সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
তাই কিউটিকল না কেটে বিশেষ ধরনের ‘কিউটিকল পুশার টুল’ দিয়ে চেপে দিন। এতে নেইলপলিশ বাড়তি চামড়ায় লেগে থাকবে না।
কিউটিকল শুষ্ক হয়ে গেলে মূলত বেশি সমস্যা হয়। তাই ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ করে রাখতে হবে।
জলপাই ও নারিকেল তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে কিউটিকলে লাগিয়ে নিন। চাইলে ওই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা পছন্দসই এসেনশিয়াল অয়েলও মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।