অতি সাধারণ এই চর্মরোগ হওয়ার কারণ সম্পর্কে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানায়, এটা হতে পারে অ্যালার্জি থেকে। আবার প্রায় সারাক্ষণ ভেজা কাপড়ের সংস্পর্শে থাকলে, উরুর চামড়া সবসময় ঘষা খেতে থাকলে অথবা অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে ভাবনায় পড়ার কিছু নেই। প্রতিকারের জন্য রয়েছে ঘরোয়া উপাদান।
মধু: এর অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি উপাদান স্বাস্থ্য উপকারিতাকে দ্বিগুণ করে তোলে। ফলে এটা প্রাকৃতিকভাবেই ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করতে সাহায্য করে।
এক টেবিল-চামচ হালকা গরম পানিতে দুই টেবিল-চামচ মধু মেশান। একটি তুলার বল অথবা পাতলা কাপড় দিয়ে এই মিশ্রণ আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার ব্যবহার করতে হবে।
ওটামিল ব্লেন্ডারে ভালোমতো গুঁড়া করে নিন। এরপর বাথটাব বা বড় বালতির মধ্যে পানিতে এটা মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুসকুড়ি আক্রান্ত স্থানটি ডুবিয়ে রাখুন। নরম ও পাতলা তোয়ালের সাহায্যে হালকা চাপ দিয়ে মুছে নিন। দিনে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
তেল চিকিৎসা: জলপাই, নারিকেল, কাঠবাদাম ইত্যাদির তেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের চুলকানি মুক্তি দিতে পারে।
একটি পাতলা কাপড়ে যে কোনো একটি তেল নিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছুন। তারপর আঙুলে খানিকটা তেল নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় মাখান। তারপর শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট লাগতে পারে। এরপর অন্য পাতলা ও পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন। দিনে চার বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
একমুঠ ধনেপাতা পিষে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিনবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। ভালো ফল পাবেন।
অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল তুলে নিন। চাইলে এতে টি-ট্রি তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। কারণ এই তেল ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
তুলার প্যাডের সাহায্যে এই মিশ্রণ ফুসকুড়ির উপর লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে দিনে দুবার ব্যবহার করুন।
ছবি: রয়টার্স ও নিজস্ব।