আপনিও যদি এই দলের লোক হয়ে থাকেন, তবে বুঝতে হবে আপনার অনুপ্রেরণার অভাব রয়েছে।
শরীরচর্চাবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানাচ্ছে অনুপ্রেরণা জাগানো ও ধরে রাখার উপায়।
ওজন কমানোর কারণ: কেনো ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিষয়টি নিজের মনে পরিষ্কারভাবে গেঁথে নিতে হবে। প্রয়োজনে তা কোথাও লিখে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন পড়তে হবে। এতে আপনার মনোবল শক্ত হবে এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর অনুপ্রেরণা মিলবে।
বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা: ওজন কমানোর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যটা বাস্তবায়নযোগ্য হওয়া চাই, নইলে দ্রুত হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা আপনাকে দেবে অর্জনের তৃপ্তি। যা পরবর্তি লক্ষ্য স্থির করতে উৎসাহ যোগাবে। অল্প ওজন কমানই স্বাস্থ্যের উপর কতোটা ভালো প্রভাব ফেলতে পারে তা জেনে অবাক হতে পারেন।
জীবনযাত্রা: কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছাতে গিয়ে জীবনযাত্রা পুরোপুরি পাল্টে ফেলা উচিত নয়। কারণ তা বেশিদিন ধরে রাখা দুষ্কর। তাই ওজন কমানোর জন্য আপনার বর্তমান জীবনযাত্রার সঙ্গে মানানসই সহজ একটি পরিকল্পনা করুন। যেটাতে স্থির থাকতে পারবেন। আর যা দুষ্কর সেগুলো এড়িয়ে যান।
খাবারের তালিকা: প্রতিদিন কী খাচ্ছেন তার তালিকা তৈরি করলে ওজন কমার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে তালিকায় থাকতে হবে সকল খাবার। তিন বেলার খাবার থেকে ছোট্ট এক টুকরা চকলেট পর্যন্ত সবকিছু। সেই সঙ্গে লিখে রাখতে পারেন সেগুলো খাওয়ার পর আপনার শারীরিক ও মানসিক অনুভূতি। এতে কোন খাবার কী প্রভাব ফেলছে তা বুঝতে সুবিধা হবে।
সাফল্য উদযাপন: ব্যায়াম আর নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে কী অর্জন করলেন তা অন্যদের দেখাতে ভুলবেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা শরীরচর্চাবিষয়ক ব্লগে আপনার গল্প তুলে ধরতে পারেন। প্রতিটি ছোট-বড় অর্জনের জন্য নিজেকে পুরস্কার দিন।
সহযোগীতা: অপরের সহযোগীতা ও নিয়মিত প্রতিক্রিয়া না পেলেও আগ্রহ হারাতে পারেন দ্রুত। এজন্য আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনায় একজন সঙ্গী জুটানোর চেষ্টা করতে হবে এবং একসঙ্গে ব্যায়াম করতে হবে। নয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কোনো গ্রুপে যোগ দিতে পারেন।
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: নিজের ওজন কমানোর পরিকল্পনা বন্ধুমহলে ঘটা করে জানানো আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। কারণ, যত বেশি বন্ধুকে পরিকল্পনা জানাবেন ততোই আপনার জবাবদিহিতা বাড়বে।
মানসিক চাপ: দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ইত্যাদি সামলানোর উপায়ের তালিকা থেকে খাওয়া-দাওয়াকে বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে দাওয়াত, অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে যোগ দেওয়াও ওজন কমানোর পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। রেস্তোরাঁয় খাওয়া কমাতে হবে।
শরীরের প্রতি ভালোবাসা: নিজের শরীরকে ভালোবাসতে না পারলে ওজন কমবে না। তাই ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের গঠন সুন্দর করতে হবে। তার যত্ন নিতে হবে এবং ইতিবাচক মানুষের মাঝে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
মজার ব্যায়াম: ব্যায়ামের রুটিনটা যদি আপনার পছন্দ না হয় তবে ব্যায়াম বেশিদিন করা হবে না। তাই কোন ব্যায়ামগুলো করতে ভালো লাগে তা নির্ধারণ করতে হবে। তাহলেই প্রতিদিন ব্যায়াম করার ইচ্ছা যাগবে।
ছবি: রয়টার্স।