মাড়ির সমস্যায় ঘরোয়া সমাধান

কচকচে পেয়ারা! এক কামড়ে বেশ খানিকটা নিয়ে চিবাতে গিয়েই বিপত্তি! ব্যথায় গালে হাত!

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2017, 08:22 AM
Updated : 7 August 2017, 06:09 AM

এরকম সমস্যার পাশাপাশি যাদের প্রায়ই দাঁতে ব্যথা বা শিরশিরে অনুভূতি হয়, রক্ত পড়ে বা মুখে দুর্গন্ধ হয়- বুঝতে হবে তাদের মাড়িতে রয়েছে সমস্যা।

এই ধরনের সমস্যা ছাড়াও ‘জিনজিভাইটিস’ বা মাড়িতে প্রদাহ মারাত্বক রোগ। এ সমস্যায় দ্রুত দন্ত চিকিৎসককে দেখানো উচিত।

তবে হাতের নাগালে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে মাড়ির ছোটখাট সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, তার হদিস জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।

অ্যালোভেরা: এর প্রদাহ এবং ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান মাড়ির চিকিৎসায় কার্যকর। টাটকা অ্যালোভেরা জেল মাড়িতে আধা ঘণ্টা মালিশ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েক সপ্তাহ ধরে দিনে কয়েকবার মালিশ করতে হবে।

নারিকেল তেল: ‘অয়েল পুলিং’ নামের এই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে অল্প নারিকেল তেল মুখে নিয়ে কুলিকুচি করে ফেলে দিতে হবে। এতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা থেকে হওয়া ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।

সামুদ্রিক লবণ: ব্যাকটেরিয়ারোধী সামুদ্রিক লবণ মাড়ির রোগবালাই ও ব্যথা দূর করার প্রাচীন এবং জনপ্রিয় পন্থা। তাই পানি ও সামুদ্রিক লবণের মিশ্রণ দিয়ে নিয়মিত কুলিকুচি করুন।

টি ট্রি অয়েল: এতেও আছে প্রদাহরোধী উপাদান। যা সংবেদনশীল মাড়ি সারাতে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, মাড়ির উপরের অংশে টি ট্রি অয়েল প্রয়োগ করলে ‘জিনজিভাইটিস’ রোগের ঝুঁকি কমে।

ব্ল্যাক টি: আছে ‘ট্যানিক অ্যাসিড’ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ব্যথা সারাতে পারে। আক্রান্ত মাড়ির উপর ব্ল্যাক টি’য়ের একটি ঠাণ্ডা টি ব্যাগ তিন থেকে পাঁচ মিনিট ধরে রাখলে উপকার পাবেন।

ক্যামোমাইল টি: জীবাণুনাশক এবং প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। মাড়ির রোগ থেকে বাঁচতে একে মুখ পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার করুন।

ছবি: রয়টার্স।