শিশুবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় শিশুদের খাবার খাওয়ানোর কৌশল সম্পর্কে।
শিশু ঠিকমতো খাবার না খেলে তার শরীরে পুষ্টির চাহিদা ঠিকমতো পূরণ হচ্ছে কিনা তা জানতে শিশুরোগবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে শিশু কোনো একবেলার খাবার বা নির্দিষ্ট কোনো খাবার খেতে না চাইলেও সমস্যা নেই। শিশু যদি কর্মতৎপর এবং সুস্থ থাকে তাহলে খাবার নিয়ে খুঁতখুঁতে হলেও এটা নিয়ে খুব একটা দুশচিন্তার কারণ নেই।
তবে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয় বা পুষ্টিহীনতা দেখা দেয় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর সমাধানের চেষ্টা করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ কেলি ডর্ফম্যান তার ‘হোয়াট’স ইটিং ইয়োর চাইল্ড?’ বইতে শিশুকে খাওয়ানোর কিছু কৌশল জানান।
বাদ দিন: প্রথমেই শিশু যে খাবারগুলো খেতে পছন্দ করে না সেগুলো বাদ দিন। যেসব খাবার অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত সেগুলো বাদ দিন। যেসব খাবার খেতে চায় না সেগুলো খেলে হয়ত তার অসুবিধা হয়। অপছন্দের খাবার বাদ দেওয়ার প্রেক্ষিতে অন্য খাবার সংযুক্ত করুন।
যুক্ত করুন: শিশুর অপছন্দের খাবার বাদ দেওয়ার পর তাকে জানান যে, প্রতি দুই সপ্তাহে একটি করে নতুন খাবার যোগ করবেন। এটা হতে পারে আলু অথবা মটরজাতীয় খাবার। মনে রাখবেন যেকোনো একটা খাবারই যোগ করতে হবে। এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আসলেই তার ওই খাবারে কোনো অসুবিধা হয়, নাকি এটা তার মানসিক অনুভূতি। যদি দেখেন যে সত্যি এতে শিশুর কোনো অসুবিধা হচ্ছে তাহলে সেটা বাদ দিন। আর যদি এটা কেবল তার মানসিক অনুভূতি হয় তাহলে তাকে সেটা বুঝিয়ে বলুন।
চেষ্টা করুন: শিশু যদি প্রতিদিন এক কামড় করেও নতুন খাবার খায় সেটা তার জন্য উপকারী। খেতে না চাইলেও স্বাদ গ্রহণের জন্য যদি দুসপ্তাহ কেবল এক কামড় করে একই খাবার খাওনো যায় সেটা তার পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে।
ছবির প্রতীকী মডেল: রুহান। ছবি: প্রামানিক।