লোমকূপ পরিষ্কার রাখার ঘরোয়া উপায়

বেশিরভাগ সময়ে ত্বকের নানান সমস্যার প্রধান কারণ হল অপরিষ্কার এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপ। তাই ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে লোমকূপ পরিষ্কার রাখা জরুরি।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2017, 08:57 AM
Updated : 7 June 2017, 08:10 AM

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লোমকূপ সময় মতো পরিষ্কার করা না হলে ব্রণ, ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই ত্বক ও লোমকূপ পরিষ্কার রাখা যায়।

ভাপ: ত্বকে ভাপ দেওয়া হলে লোমকূপ প্রসারিত হয় এবং মুখ ঘামতে থাকে, এতে লোমকূপের ভেতর জমে থাকা ময়লা এবং দূষিত উপাদান বেরিয়ে আসে। ফলে ত্বক পরিষ্কার হয়।

মুলতানি মাটি: রূপচর্চায় বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মুলতানি মাটি। এই মাটি ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করে।

ডিম: ডিমের সাদা অংশ ত্বক পরিষ্কার করে লোমকূপ সংকুচিত করে। ত্বক টানটান করে তুলতে সাহায্য করে। ত্বকে সাদা অংশ লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর রস: লেবুর রসে থাকা সিট্রিক অ্যাসিড ত্বকে জমে থাকা ঘাম এবং ময়লা পরিষ্কারে সহায়ক। কুসুম গরম পানিতে তাজা লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করা হলে তা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

বেইকিং সোডা: ত্বকের মৃত কোষ এবং জমে থাকা ময়লা দূর করতে বেইকিং সোডার জুড়ি নেই। স্ক্রাবার হিসেবে সপ্তাহে দুএক দিন এই উপাদান ব্যবহার করা যায়। পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলেই উপকার পাওয়া যাবে।

ওটমিল: ত্বক কোমলভাবে পরিষ্কার করে বাড়তি তেল, মৃত কোষ দূর করে। ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ফলের স্ক্রাব: ফলে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পেঁপে, কলা, কমলা বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপ পরিষ্কার করতে সহায়ক। এছাড়া ফলের এনজাইম ও পুষ্টিগুণ ত্বকের জন্য উপকারী।

দারুচিনি ও মধু: এই দুটি উপাদানের মিশ্রণ গভীর থেকে পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বকে দীপ্তি জোগাবে। এছাড়াও এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ত্বককে জীবাণু মুক্ত রেখে ব্রণ বা অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

বাজারজাত প্রসাধনীর তুলনায় ঘরোয়া উপাদানে তৈরি স্ক্রাব ও মাস্ক ত্বকের জন্য বেশি উপযোগী। কারণ এতে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে না।

ছবির মডেল: লারা লোটাস। ছবি: দীপ্ত।