ডাব দেবে সতেজ অনুভূতি

গরমে তেষ্টা মেটাতে ফ্রিজে সাজানো কোমল পানীয়র দিকে মনে টানছে! হাত বাড়ানোর আগে একটু থামুন। কারণ প্রায় একই দামে আপনি পেতে পারেন প্রাকৃতিক পানীয়, যা শরীরে শক্তি যোগাবে। আবার ওজন বাড়াবে না।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2017, 10:58 AM
Updated : 24 May 2017, 12:08 PM

আর সেটা হচ্ছে ডাবের পানি। তীব্র গরম আর রোদের তাপ থেকে বাঁচতে নিজেকে আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। ডাব মানব দেহে জল ও খনিজের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা ডাবের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানান।

তিনি বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের পানি থেকে ১৯১৭ কিলোক্যালরি পাওয়া যায় যা মানবদেহে শক্তি যোগায়। ডাবের পানির ফ্যাট থেকে প্রাপ্ত শক্তির পরিমাণ ১.৬৭ কিলোক্যালরি। এতে মোট ০.২১ গ্রাম ফ্যাট থাকে। ডাবের পানিতে সম্পৃক্ত ফ্যাটের পরিমাণ ০.১৭ গ্রাম। 

ডাবে খাদ্য-আঁশের পরিমাণ ১.০৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩.৭১ গ্রাম, চিনি বা শর্করা ২.৬৩ গ্রাম এবং প্রোটিনের পরিমাণ ০.৭১ গ্রাম ।

এছাড়াও ডাব নানান ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর।

প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের পানিতে ভিটামিন সি ১০ মি.গ্রা, ০.০২ মি.গ্রা ভিটামিন বি-১, ০.০৪ মি.গ্রা ভিটামিন বি-২ থাকে। এছাড়াও, আয়রন ৪ মি.গ্রা, ক্যালসিয়াম ৬ মি.গ্রা ও ০.৩ মি.গ্রাম ক্যারোটিন পাওয়া যায় ডাবের পানিতে।

ডাবের পানিতে থাকা থায়ামিন, নায়াসিনসহ অন্যান্য উপাদান মানবদেহ সুস্থ রাখতে সহায়ক।

এছাড়াও রয়েছে ডাবের নানামুখি উপকারিতা।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক খনিজ থাকায় তা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং পাশাপাশি অন্যান্য কার্ডিওভ্যসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: ডাবের পানিতে কোলেস্টেরল না থাকায় তা ওজন বাড়ায় না। তাই গরমে তেষ্টা মেটাতে ডাবের পানি বেশি খাওয়া হলেও ওজনে বিরূপ প্রভাব ফেলে না।

পেটের সুস্থতা: বুকজ্বলা, হজম সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপার সমস্যা দূরে করতে ডাবের পানি সাহায্য করে। তাছাড়া যাদের হজমে সমস্যা আছে তাদের জন্য ডাবের পানি বেশ উপকারী বলে।

এছাড়া ডাবের পানিতে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে যা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

ছবি: দীপ্ত।