ঈদ পোশাকের নকশাকারদের ভাবনায় গরমও

গ্রীষ্মের উষ্ণ আবহাওয়া মাথায় রেখে এই ঈদে নান্দনিকতার পাশাপাশি আরামদায়ক পোশাকের পসরা সাজিয়েছে ‘দেশী দশ’র ফ্যাশন হাউজগুলো।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2017, 05:44 PM
Updated : 21 May 2017, 05:44 PM

রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ঈদের পোশাকের পসরা নিয়ে ফ্যাশন শো আয়োজন করা হয়, যাতে অংশ নেয় দেশীদশের ব্যানারের ফ্যাশন হাউজগুলো।

সাদা-কালোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল হক আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, শার্ট, ফতুয়া ও শিশুদের পোশাকে গরমের কথা মাথায় রেখে যথাসম্ভব আরামদায়ক করে তৈরি করা হয়েছে।”

দেশি পোশাকে আন্তর্জাতিক ডিজানের ‘ফিউশন’ করা হয়েছে বলা জানান আজাদ।

“সাদা-কালো পোশাকে নতুন চমক থাকছে পলকা ডটস, সিল্ক, এন্ডি সিল্ক-কটন ও সুতি নানা আকারের পলকা ডটস (বৃ্ত্ত) দিয়ে নকশা করা হয়েছে।”

১৯৭৩ সালে কুমিল্লার খাদি কাপড় নিয়ে যাত্রা শুরু করা নিপুণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুর রহমান ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদে গরম থাকবে বলে কটন ও সুতি কাপড়ে হালকা রঙের প্রাধান্য দিয়েছি।

“এবারের ঈদে আমাদের পোশাকের থিম ফুল, পাখি, লতা-পাতা তথা প্রকৃতি। হাতের কাজে তৈরি পোশাকগুলো দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে।”

নীলের পাশাপাশি ভেজা মাটির রঙ-এর পোশাকে প্রকৃতির স্নিগ্ধতা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান দেশালের মালিক ও ডিজাইনার ইসরাত জাহান।

তিনি বলেন, “নিজস্ব স্টাইলে তৈরি পোশাকগুলোকে আবহাওয়া উপযোগী করতে সুতি কাপড়ের ব্যবহার করা হয়েছে।”

হালকা রঙ ও ডিজাইনের পাশাপাশি মুঘলীয় নকশা ও প্যাটার্ন নিয়ে এসেছে কে-ক্রাফট।

“প্রশান্তির নীলাম্বরী মোটিফে পার্ট কামিজ, কটি বেজড কামিজ ও ঝুলের পোশাক’ এবারের ঈদে নতুন চমক বলে জানান কে-ক্রাফটের ডিজাইনার শায়লা নূর।

“গরম ও ঈদ একসাথে, তাই আরামদায়ক ও ঝলমলে পোশাক এনেছি আমরা।”

মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে ‘ইসলামি' নকশার পোশাক মিলবে রঙ বাংলাদেশের শো-রুমে।

ফ্যাশন হাউজটির প্রধান নির্বাহী জানান, ইসলামি নকশার পাশাপাশি থাকবে নকশীকাঁথা, ইন্দোনেশিয়ান টেক্সটাইল ও আফ্রিকান মাড হাউজের মোটিফের ব্লক, এম্ব্রয়ডারি ডিজাইন।

“গরমের জন্য অধিকাংশ পোশাকে সুতি, কটন, এন্ডি-কটন ও মসলিন কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে।”