নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ওজন বেশি তাদের খাদ্যাভ্যাসে মাংস বেশি থাকলে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এই রোগ হেলাফেলা করার উপায় নেই। কারণ এ থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস যা আরও তীব্র অবস্থায় ক্যান্সারের দিকে মোড় নিতে পারে। ফলে জটিলতা এতই মারাত্বক আকার ধারণ করবে যে যকৃত প্রতিস্থাপন করা ছাড়া গতি থাকবে না।
গবেষণার প্রধান গবেষক, নেদারল্যাদন্ডের এরাসমাস মেডিকাল সেন্টারের লুইস আলফেরিঙ্ক বলেন, “এই রোগের চিকিৎসার মূলমন্ত্র হল স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তবে বিশেষায়িত খাদ্যাভ্যাসবিষয়ক পরামর্শের অভাব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “গবেষণার ফলাফল এটাই স্পষ্ট করে যে, স্থূলকায় ব্যক্তিদের যকৃতে চর্বি জমার পেছনে প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।”
আমস্টারডাম’য়ে অনুষ্ঠিত দ্য ইন্টারন্যাশনাল লিভার কংগ্রেস ২০১৭’তে এই গবেষণা উপস্থাপন করা হয়। এতে আরও দেখানো হয় যে ফ্রুক্টোজ গ্রহণ করাকে যতটা ক্ষতিকর মনে করা হত সেটা আসলে ততটা ক্ষতিকর নয়।
গবেষণায় অংশ নেন মোট ৩ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ছিলেন ছিপছিপে গড়নের আর বাকিরা ছিলেন বাড়তি ওজনের। যাদের বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) ছিল প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৫ কেজি।
আল্ট্রাসাউন্ড’য়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয় যে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গড়ে ৭১ বছর বয়সিদের ৩৫ শতাংশের এনএএফএলডি রোগ আছে।
অংশগ্রহণকারীদের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট গ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও তালিকাভুক্ত করা হয় এবং নিউট্রিয়েন্ট ডেনসিটি মেথড শীর্ষক প্রক্রিয়ার খাবারের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করা হয়।
পরে বডি ম্যাস ইনডেক্স অনুযায়ি সংগ্রহীত তথ্যাদি শ্রেণিবিভক্ত করা হয় যাতে বডি ম্যাস ইনডেক্সের পরিবর্তন ভেদে খাদ্যাভ্যাসে কী ধরনের পরিবর্তন ও ভুল হয় নির্ণয় করা যায়।
প্রধানত যাদের ওজন বেশি তাদের মাঝে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও যকৃতে চর্বি জমা হওয়ার রোগের গভীর সম্পর্ক দেখা যায়।
গবেষণায় দেখা যায় শরীরের মূল প্রোটিনের পরিমাণের সঙ্গে যকৃতে চর্বি জমার সম্পর্ক রয়েছে। আর এই সম্পর্কের মূল চালিকা শক্তিই হল প্রাণিজ প্রোটিন।