স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই রোগে মাথা ঘোরা ছাড়াও বমি বমিভাব এবং অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল ও পুষ্টি উপাদান থাকার জন্য দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় নিচের খাবারগুলো যোগ করে নিতে পারেন।
কাঠবাদাম: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি থাকে কাঠবাদামে, যা আপনাকে রাখবে স্বাস্থ্যবান ও কর্মচঞ্চল। রাতে ঘুমানোর আগে একমুঠ কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ওই বাদাম পিষে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মেশাতে হবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই দুধ পান করলে মাথা ঘোরানোর সমস্যা দূর হবে।
আমলকি ও ধনিয়ার বীজ: ধনিয়ার বীজে থাকে কর্পূর, ম্যাঙ্গানিজ, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম। আর আমলকিতে আছে ভিটামিন সি। এক গ্লাস খাওয়ার পানিতে ১ টেবিল-চামচ করে ধনিয়ার বীজ ও আমলকির গুঁড়া নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে পানিটুকু ছেঁকে নিয়ে তাতে মধু যোগ করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে কিংবা যখন মাথা ঘোরায় সেই সময়ে এটি পান করলে উপকার মিলবে।
লালমরিচ: এতে থাকে ‘ক্যাপসাইসিন’, যা কানের ভেতরে অংশ ও মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। ফলে মাথা ঘোরাভাব কমে। ১ টেবিল-চামচ লালমরিচ ও আধা টেবিল-চামচ গোলমরিচের গুঁড়া একটি বাটিতে নিয়ে ১ চিমটি লবণ, ১ টেবিল-চামচ অপাস্তুরিত অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ও ১ টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুতিনবার খেলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়বে।
লেমনগ্রাস: মাথা ঘোরা ও বমিভাব দূর করতে এটি বেশ উপকারী। থেতলানো লেমনগ্রাস মিশিয়ে চা বানিয়ে পান করতে পারেন, যোগ করতে পারেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতেও। মাথা ঘোরাভাব অনুভুত হওয়ার সময় এক কাপ লেমনগ্রাস চা পান করলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই উপকার মিলবে।
স্ট্রবেরি: ভিটামিন সি’র একটি উল্লেখযোগ্য উৎস স্ট্রবেরি। যা মাথা ঘোরানোর সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি তাজা স্ট্রবেরি চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার কাটা স্ট্রবেরি সারারাত দইয়ের উপর রেখে দিয়ে সকালে খেতে পারেন। দইতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা মাথা ঘোরাভাব দূর করতে সহায়ক।