ডিম সমাচার

প্রোটিন ও ‍পুষ্টিতে ভরপুর খাবার হিসেবে ডিম সুপরিচিত। তবে এই খাবারের অনেক তথ্যই হয়ত অজানা থাকতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2017, 09:37 AM
Updated : 13 April 2017, 09:37 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ডিম নিয়ে প্রচলিত ধারণাগুলোর বাইরেও রয়েছে নানান বিষয়।

সিদ্ধডিম বোঝার উপায়: পুরো সিদ্ধ বা আধা সিদ্ধ এই অবস্থা বোঝার তেমন কোনো উপায় নেই। এক্ষেত্রে ডিমটি টেবিলের উপর রেখে ঘোরান। যদি ডিম ঠিকঠাক ঘোরে তাহলে বুঝতে হবে তা পুরোপুরি সিদ্ধ হয়েছে। আর যদি ঠিক মতো না ঘোরে তাহলে বুঝতে হবে আধা সিদ্ধ হয়েছে।

প্রোটিনের উৎস: ডিমের প্রোটিনে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড যা শরীরের কোষ গঠনে সহায়ক। মায়ের দুধের পর ডিমই আদর্শ প্রোটিনের উৎস।

ধুয়ে নিন: বাজার থেকে ডিম কিনে আনার পর ভালোভাবে ধোয়ার প্রয়োজন বোধ না করলেও জেনে রাখুন, ডিমের উপরেও প্রচুর ময়লা এবং ব্যাক্টেরিয়া লেগে থাকে। তাই ঘরে এনে ডিম ভালোভাবে ধুয়ে, শুকনা করে মুছে তারপর সংরক্ষণ করতে হবে।

কুসুমের রং: দেখে মুরগির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। যদি গাঢ় হলুদ হয় তাহলে বুঝতে হবে মুরগির খাবারের তালিকায় সবুজ সবজির পরিমাণ বেশি ছিল। অন্যদিকে ভুট্টা এবং শস্যজাতীয় খাবার খেলে মুরগির ডিমের রং হবে হালকা হলুদ।

দীর্ঘদিন ভালো রাখতে: রেফ্রিজারেটরে ডিম সংরক্ষণ করা হলে ব্যাক্টেরিয়া খোসা ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে পারে না। ফলে দীর্ঘদিন ডিম সংরক্ষণ করা যায়। তাই বাইরে না রেখে ফ্রিজারের ভেতর রাখলে ডিম দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

ক্যালোরির পরিমাণ: বড় আকারের একটি ডিমে ৭০ ক্যালোরি এবং পাঁচ গ্রাম স্নেহ থাকে। তাই ডাক্তারের নিষেধ বা অন্য সমস্যা না থাকলে কোনো সংকোচ ছাড়াই ডিম খাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন।