কলা তর্ক

এই ফলের পুষ্টিগুণ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। কেউ বলে ঠাণ্ডায় কলা খাওয়া খারাপ, কেউ বলে ভালো! আসলে কী?

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2017, 12:26 PM
Updated : 3 April 2017, 12:26 PM

ভারতীয় পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়াকারের লেখা ‘ইন্ডিয়ান সুপারফুডস’ বইয়ের তথ্য নিয়ে কলা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা শুধরে দিয়েছে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।   

প্রচলিত ধারণা: ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কলা বাদ।

আসল বিষয়: কার্বোহাইড্রেইটযুক্ত খাবার রক্তের শর্করার পরিমাণের উপর যে প্রভাব ফেলে, তা পরিমাপের মানদণ্ড হল ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’। এর আদর্শ মান হল একশ। কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা কম হওয়ায় ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ফলটি নিরাপদ। স্বাস্থ্যবিষয়ক অনেকগুলো সংঘ ডায়বেটিস রোগীদের কলা খাওয়ার উপদেশ দেন। 

প্রচলিত ধারণা: কলায় প্রচুর শর্করা

আসল বিষয়: ফ্রুক্টোজ আর ভিটামিন বি-তে টইটম্বুর এই ফল। পাশাপাশি কলাতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা প্রত্যেকের জন্যই নিরাপদ।

প্রচলিত ধারণা: কলা খেলে পেট ফোলে।

আসল বিষয়: প্রথমেই মনে রাখতে হবে, পেট ফোলা মানেই ভুঁড়ি হওয়া নয়। আর কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও পেক্টিন। এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য উপকারী ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে। ফলে পেট ফোলাভাব কমায়।

প্রচলিত ধারণা: কলা খেলে শরীর মুটিয়ে যায়।

আসল বিষয়: কলায় চর্বির পরিমাণ খুবই কম। বরং শরীরের অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এই ফলের রয়েছে বিশেষ অবদান। চর্বি ঝরানোর ক্ষেত্রে আবশ্যক কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কোলেস্টেরল কমানো।

প্রচলিত ধারণা: ওজন কমাতে চাইলে কলা খাওয়া বাদ।

আসল বিষয়: ভিটামিন বি সিক্স, বিভিন্ন খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম ও আঁশের একটি উল্লেখযোগ্য ফলজ উৎস কলা। ফলটি একাই একবেলার স্ন্যাকস হিসেবে যথেষ্ট। পাশাপাশি কর্মব্যাস্ত জীবনে শরীরে দ্রুত শক্তি যোগাতে কলা অনন্য।

প্রচলিত ধারণা: উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কলা খাওয়া বন্ধ।

আসল বিষয়: উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সকাল ও দুপুরের খাবারের মাঝের হালকা স্ন্যাকস হিসেবে আদর্শ খাবার কলা। প্রাকৃতিকভাবে কলায় প্রচুর ‘ইলেক্ট্রোলাইট’ থাকে এবং ফলটি কোনোদিক থেকে রোগীর জন্য অপকারী নয়।