যেসব নিয়ম ভাঙা যাবে না

শুধু রূপচর্চা করলেই হবে না সুন্দর ত্বকের অধিকারী হওয়ার জন্য নিয়মিত কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2017, 10:53 AM
Updated : 28 March 2017, 10:54 AM

রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সাতটি উপায় সম্পর্কে জানা যায় যা সুন্দর ত্বকের স্বার্থে ভুলে গেলে চলবে না।

সানস্ক্রিন: ত্বকের জন্য সূর্যের তাপ ক্ষতিকর। এবং সহজে ঠিক হয় না। তাই ঘরে থাকলেও এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আর বাইরে গেলে এসপিএফ ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আর শুধু মুখে নয়, দেহের যেসব অংশ রোদের সংস্পর্শে আসবে সেসব জায়গাতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। তবে শরীরচর্চা শুধু ক্যালরি খরচ করে না, ত্বকে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল।

মেইকআপ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না: যত দেরি হোক আর আপনি যতই ক্লান্ত থাকুন, ভালোমতো মেইকআপ পরিষ্কার করে তবেই ঘুমাতে যেতে হবে। কারণ ঘুমের সময় ত্বকের শ্বাস নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

স্ক্রাব: কিছু সময় নিয়ে ত্বক ‘এক্সফলিয়েটর’ দিয়ে ঘষামাজা করুন। এতে ত্বকের মৃত কোষ উঠে যাবে। ফলে ত্বক শ্বাস নিতে পারবে এবং গভীর থেকে পরিষ্কার হবে।

ব্রণ খোটাবেন না: হাত ও ব্যাকটেরিয়া ব্রণ থেকে দূরে রাখুন। উন্নতমানের দাগ নিরাময়কারী পণ্য ব্যবহার করুন এবং একে এর কাজ করতে দিন। হঠাৎ করে ব্রণের সমস্যা দেখা দিলে, নিশ্চিত হয়ে নিন এটি পরিষ্কার করার উপযোগী হয়েছে কিনা। মানে শুধুমাত্র ব্রণে সাদা মুখ বের হলে তা ফাটাতে হবে। এজন্য শুকনা হাতে ‘এক্সট্রাক্টর’ ব্যবহার করতে হবে। ফাটানো ব্রণের জায়গা বাদ দিয়ে স্ক্রাব করতে হবে। কারণ ব্রণ দ্রুত ঠিক হয় না, এরজন্য সময় দিতে হয়।

সঠিক খাবার: ফল ও সবজিতে পূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়লে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে। কারণ চিনি গ্রহণ করা হয় কম। আর যে কোনো মিষ্টি ব্রণ তৈরি করতে পারে।

পাশপাশি নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে সমৃদ্ধ। এছাড়াও আছে বেটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং লাইপোসিন। জলপাইয়ের তেলে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- ভিটামিন এ এবং ই, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা করে। সৌন্দর্যবর্ধক খাবার হিসেবে বাঁধাকপি সবচেয়ে ভালো। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়াকে ধীর করে।   

ধূমপান বাদ: ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমার কারণে শরীরে কোষে অক্সিজেনের সরবারহ কমে যায় এবং যকৃতে জমে থাকা টক্সিন শরীরের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে। ধূমপানের মাধ্যমে ত্বকে দূষণের সৃষ্টি হয় যা প্রদাহজনক এবং ত্বকে নিস্তেজভাব, পানি শুণ্যতা ও ফ্যাকাসে ভাবের সৃষ্টি করে।

ছবির প্রতীকী মডেল: জেনিফার। ছবি: প্রামানিক।