বারকোড এবং কোল্ড স্টোন ক্রিমারি

দেশের বাইরে থেকে আসা বিশেষ স্বাদের আইসক্রিম খেতে এই দুই রেস্তোরাঁয় ঢুঁ মারতে পারেন। পাশাপাশি একটিতে মিলবে সামুদ্রিক খাবার, আরেকটিতে আছে আমেরিকান ফাস্টফুড।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2017, 12:32 PM
Updated : 23 March 2017, 10:43 AM

বারকোড

২০১৩ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের মঞ্জুরুল হকের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল বারকোড রেস্তোরাঁ। সেসময় মাত্র চারটি খাবার পাওয়া যেত। জায়গা ছিল ২০ জনের।

ঢাকার গুলশান এক নম্বরে তাদের যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের জুলাইতে। নিউ জিল্যান্ডের ব্র্যান্ড ‘নিউ জিল্যান্ড ন্যাচারাল’ আইসক্রিমের ফ্র্যানচাইজ হিসেবে ঢাকায় শুরু করা এসএমশফিউল সালেহ, নাজ রহমান ও তাদের দুই সহকর্মী বারকোডের সঙ্গে জুটি বেঁধে রেস্তোরাঁর শাখা নিয়ে আসেন ঢাকায়।

গুলশান এক গোল চত্বর থেকে শুটিং ক্লাবের দিকে যেতে হাতের বামে ১৪২ নম্বর রোডে ঢুকে হাতের ডানেই পড়বে দোতলা রেস্তোরাঁটি। নিজস্ব ভবন হওয়ায় গাড়ি পার্কিংয়ের রয়েছে যথেষ্ট জায়গা। দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে। নিচতলায় নিউ জিল্যান্ড ন্যাচারাল, দোতলায় বারকোড। তবে যেকেনো তলায় বসেই দুই রেস্তোরাঁর খাবার অর্ডার করতে পারবেন। নিচে বসতে পারে ২০ জন আর উপরে ১১০ জন। ওয়াইফাই আছে।

বারকোড।

বারকোড।

অন্দরসজ্জা পুরোটাই কর্ণধার মঞ্জুরুল হকের নির্দেশনায়। ব্যবহার করা হয়েছে অতি সাধারণ আসবাবপত্র, তবে নজর কাড়বে দেয়ালে ঝোলানো উক্তি ও পেপার কাটিংগুলো।

এসএম শফিউল সালেহ দাবি করেন, “খাবারের মধ্যে জনপ্রিয়তার তালিকায় আছে হানি চিকেন সালাদ (৩৪০ টাকা), মিন্ট লেমোনেইড (৯০ টাকা), চিকেন স্টেক (৩৪০ টাকা), ইংলিশ রোস্টেড (৩৪০ টাকা) ও বিবিকিউ ড্রামস্টিক (৩৪০ টাকা)। সামুদ্রিক খাবারের মধ্যে বেশি চলে রেড স্ন্যাপার ও লবস্টার। প্রতি ১০০ গ্রামের দাম যথাক্রমে ১৯৯ ও ৩৯০ টাকা। সকল খাবারের দামে ভ্যাট যোগ করা আছে।

বারকোড।

নিউ জিল্যান্ড ন্যাচারাল।

নাজ রহমান বলেন, “রেস্তোরাঁটি অফিস পাড়ায় হওয়ায় কর্মজীবী ক্রেতাদের বেশি পাই। তবে ছাত্র-ছাত্রী ও পরিবার নিয়ে খেতে আসা ক্রেতার পরিমাণও কম নয়। দুপুর একটা থেকে সাড়ে তিনটা এবং সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভিড় হয়। অপরদিকে তালিকায় থাকা বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকায় সব বয়সের ক্রেতাকে আমরা সন্তুষ্ট করতে সক্ষম। শিগগিরই উত্তরাতেও আরেকটি শাখা চালু করতে যাচ্ছি আমরা।”

কোল্ড স্টোন ক্রিমারি

গুলশান এক থেকে শুটিং ক্লাবের দিকে যেতে হাতের ডানে পড়বে বিশাল পরিসরে গড়ে ওঠা আমেরিকান এই আইসক্রিম পার্লার। খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত। মোট ৭৮ জনের বসার ব্যবস্থা আছে। ওয়াইফাই তো আছেই।

তবে শহরের অন্যান্য আইসক্রিম পার্লারের মতো সরাসরি কাপে আইসক্রিম দেওয়া হয়না। কাপের উপর প্রথমে বসানো কাপ আকৃতির একটি ওয়েফার। তার উপর দেওয়া হয় আইসক্রিম। প্রতিটি আইসক্রিমের প্রস্তুত প্রণালি নির্ধারণ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মূল প্রতিষ্ঠান থেকে। এমনকি আইসক্রিম তৈরির সরঞ্জামও আসে সেখান থেকেই। তবে আইসক্রিম বাদে অন্যান্য খাবারের কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয় বাংলাদেশ থেকে।

কোল্ড স্টোন ক্রিমারি।

কোল্ড স্টোন ক্রিমারি।

আইসক্রিম কেক মিলবে এখানে। ২.২৫ পাউন্ডের আইসক্রিম কেক ২ হাজার টাকা। ৪.২৫ পাউন্ডের আইসক্রিম কেক ৩ হাজার টাকা। ‘মিডনাইট ডিলাইট’ এবং ‘চিজকেক নেম ডিসায়ার কোল্ড স্টোন ক্রিশারি’র আইসক্রিম কেকের চাহিদা বেশি।

গলে যাওয়া রোধ করতে আইসক্রিম কেকগুলো ডেলিভারি করা হয় বরফে করে। ফলে রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত কেক গলে না।

আইসক্রিম ছাড়া অন্যান্য খাবারের মধ্যে আছে ‘টেক্স মেক্স মেন্যু’। দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই তালিকার প্রতিটি পদের উপর চলে ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়।

মেক্সিকান মিনি স্টেক (৬৪৫ টাকা), সাউথ ওয়েস্টার্ন চিকেন স্যান্ডউইচ (৪৪৫ টাকা), আলটিমেট চিকেন সালাদ (৩৯৫ টাকা), নাচোস (গরু ৫৪৫ টাকা, মুরগি ৪৯৫ টাকা)।

আইসক্রিম পার্লার রাত ২টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও খাবারের আয়োজন রাত সাড়ে ১২টায় বন্ধ হয়ে যায়।