‘বস’ খারাপ, কর্মীদের চাপ

অফিসে যার অধীনে আছেন তার মধ্যে যদি কাজ করার এবং নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ না থাকে তাহলে কর্মীদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2017, 01:05 PM
Updated : 16 March 2017, 01:05 PM

‘বস’ যদি ভালো না হয় তাহলে তার সঙ্গে কাজ করা বেশ দুষ্কর। এক্ষেত্রে দুই ধরনের দিক তুলে ধরা যেতে পারে।

এক, ‘ডার্ক’ এই ধরনের উর্ধ্বতন কর্তা ধ্বংসাত্মক আচরণ করেন। দুই ‘ডিসফাংশনাল’ বা সক্রিয় নয়। গবেষণায় দেখা গেছে দুই ক্ষেত্রেই কর্মচারীদের জন্য কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত বিংহামটন ইউনিভার্সিটির সেথ এম. স্পাইন বলেন, “ডিসফাংশনাল’ বস কর্মচারীদের আঘাত করতে চান না। নিজের কর্মদক্ষতার অভাব অথবা ব্যক্তিত্বের সমস্যা রয়েছে এমন ‘বস’দের আমরা মোটাদাগে ‘ডিসফাংশনাল’ বলছি।”

“অন্যদিকে ‘ডার্ক’ বস বা উচ্চপদস্থ ব্যক্তির ধ্বংসাত্মক আচরণ থাকে এবং নিজেদের জাহির করতে গিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন।” বলেন স্পেইন।

তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের বস তাদের অধীনস্থদের কাজের চাপের মধ্যে রাখতে ভালোবাসেন। অন্যদের এই ধরনের পরিস্থিতিতে ফেলে তারা এক ধরনের প্রশান্তি লাভ করেন।”

দলনেতাদের ব্যবহার হবে অনেকটা আতস কাচের মতো যা তার কর্মঅভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রকাশিত হবে। তবে কর্মচারীদের উপর ‘ডিসফাংশনাল’ বা ‘ডার্ক’- দুই ধরনের কর্মকর্তাই মানসিকচাপ তৈরি করতে পারে।

তবে গবেষণায় দেখা যায় শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে খারাপ ‘বস’ এবং তাদের ব্যবহার চিহ্নিত করে ঠিক হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করা যায় তবে সার্বিকভাবে কর্মক্ষেত্রে চাপ কমে।

স্পেইন বলেন, “ আমরা বিশ্বাস করি কর্মীদের কাজের অগ্রগতিতে এবং ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য এই ধরনের স্বভাব চিহ্নিত করা জরুরি।”

‘রিসার্চ ইন অকিউপেশনাল স্ট্রেস অ্যান্ড ওয়েল বিং’ জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

ছবি: রয়টার্স।