শিশুবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, র্যাশ বা ফুসকুড়ির নানাবিধ কারণ সম্পর্কে। সাধারণ কিছু যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে শিশুকে রক্ষা করা সম্ভব।
র্যাশ বা ফুসকুড়ির প্রধান কারণ অতিরিক্ত আর্দ্রতা। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে- শক্ত করে শিশুকে ডায়াপার পরানো, ভেজা জলবায়ু এবং ঠিকভাবে শিশুর জামাকাপড় তোয়ালে পরিষ্কার না করা। অনেক সময় সাবানের গুঁড়া কাপড়ে থেকে যায় যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
- যতবার পারেন শিশুর ন্যাপি পরিবর্তন করে দিন। এতে তার নিতম্ব পরিষ্কার ও শুকনা থাকবে।
- শিশুকে কিছুক্ষণ ডায়াপার ছাড়া উন্মুক্ত অবস্থায় রাখুন। ফুসকুড়ি দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
- ত্বক আর্দ্রতা মুক্ত রাখতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
- পানিতে আধা কাপ ভিনিগার মিশিয়ে তাতে শিশুর নোংরা কাপড় ভিজিয়ে রাখুন। কোনো রকম ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার না করে তা ধুয়ে ফেলুন।
- ডায়াপারের র্যাশ দূর করতে পেট্রোলিয়াম জেলি বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- শিশুর জামাকাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে সুগন্ধি সাবান অথবা ডিটারজেন্টের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এগুলো অনেকসময় ফুসকুড়ির কারণ হতে পারে।
- শিশুকে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ওয়াইপ্সের পরিবর্তে ক্ষরহীন সাবান ও হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
- শিশুকে অন্য ন্যাপি পরানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তার নিতম্বের অংশ সম্পুর্ণভাবে শুষ্ক থাকে।
- গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ ওটামিল মিশিয়ে তা দিয়ে শিশুকে গোসল করান।
- শিশুকে প্লাস্টিকের প্রান্ত বিশিষ্ট ডায়াপার পরাবেন না।
- শিশুর নিতম্ব পাতলা তোয়ালে অথবা তুলা দিয়ে আলতো করে মুছুন। কখনই জোড়ে ঘষে মুছবেন না।
- যতটা সম্ভব শিশুর শরীরে টেলকাম পাউডার কম ব্যবহার করুন। কারণ এটি অনেক সময় শিশুর শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে।
ছবি: রয়টার্স।