মুখের গড়ন বুঝে ভ্রু’র আকার

ভ্রুয়ের যথার্থ আকার চেহারায় আনে পরিবর্তন। তাই ঠিক মাপের দিকে সবসময় যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2017, 12:00 PM
Updated : 12 March 2017, 01:17 PM

রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় মুখের আকার ভেদে ভ্রুয়ের মাপ এবং ভ্রুয়ের মাপ ঠিক রাখার নানাবিধ উপায় সম্পর্কে।

চৌকো মুখের জন্য: এই ধরনের মুখে হালকা বৃত্তাকার ভ্রু দেখতে ভালো লাগে। হালকা বৃত্তাকার বলতে বোঝানো হচ্ছে ভ্রু খুব বেশি কৌণিক বা খুব বেশি গোলাকার হবে না। রংধনু আকৃতি করার জন্য ভ্রু’র লোম অতিরিক্ত প্লাক করা বা উঠানোর প্রয়োজন নেই।

গোলাকার মুখের জন্য: গোলাকার মুখে কৌণিক ভ্রু দেখতে ভালো লাগে। সাধারণত গোলাকার মুখের কাঠামো সুস্পষ্ট থাকে না। তাই কৌণিক ভ্রু মুখের হাড়ের কাঠামোভাবে প্রকাশে সহায়তা করে।

বড় মুখের জন্য: বড় মুখ বলতে সাধারণত লম্বাকৃতি মুখকে বোঝায়। এই ধরনের মুখে চোখের কোণা থেকে শুরু করে আনভূমিকভাবে প্রশস্ত ভ্রু দেখতে ভালো লাগে।

হৃদয়াকৃতি মুখের জন্য: এই ধরনের মুখের চোয়ালের দিকটা ছোট থাকে এবং উপরের অর্থাৎ কপালের দিকটা প্রশস্ত থাকে। এ ধরনের মুখে ভ্রুয়ের আকার নিয়ন্ত্রিত হওয়া প্রয়োজন এবং কখনও যেন তা দেখতে জঙ্গলময় না লাগে সেইদিকে খেয়াল রাখা উচিত।

ডিম্বাকৃতি মুখের জন্য: এরকম মুখের অধিকারীদের নিজেদের ভাগ্যবান মনে করা উচিত। কারণ এই ধরনের মুখে ভ্রুয়ের আকার নির্ধারণের কোনো বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। যে কোনো আকারের ভ্রু দেখতে ভালো লাগে।

সব ধরনের মুখের জন্য: মুখের আকার ভেদে ভ্রু’র আকারেও যত্ন নিতে হয়। নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে ভ্রু ওঠালে তা সব আকারের মুখের সঙ্গেই মানিয়ে যায়।

নাকের হাড় বরাবর উপরের অংশ থেকে শুরু করে চোখের কাছাকাছি অংশ পর্যন্ত ভ্রু’র মাপ নির্ধারণ করুন। ভ্রু খুব বেশি ছোট করা ঠিক নয়। আর মাপ ঠিক রাখতে নাঁকের উপর বরাবর আড়াআড়িভাবে পেন্সিল ধরুন ও মাপ নির্ধারণ করুন।

শুরুর অংশ চিহ্নিত করুন: কোন আকৃতির ভ্রু আপনার সঙ্গে মানানসই তা জেনে থাকলে এখন কীভাবে তার 'সেইপ' বা আকার ঠিক রাখবেন তা জেনে নিন। 'টোয়িজার' বা চিমটা ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো উপায়। অন্যেকে দিয়েও ভ্রু ভালোভাবে থ্রেড করা যায়।

লম্বাভাবে চিমটা ধরে নাকের উপর বরাবর ধরুন। এখন ভ্রু কোথা থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে সেটা নির্দিষ্ট করুন। তারপর 'আই পেন্সিল' ব্যবহার করে ভ্রুয়ের আকার ঠিক করে নিন। বাইরের অংশের ভ্রু তুলে ফেলুন।

শেষ অংশ চিহ্নিত করুন: ভ্রুয়ের শেষ অংশ নির্দিষ্ট করে তা 'আই পেন্সিল'য়ের সাহায্যে চিহ্নিত করে নিন। ভ্রুয়ের শেষ অংশ গালের হাড়ের দিকে এমনভাবে হবে যেন তা চোখের শেষ অংশের কোণা পর্যন্ত যায়। এরপর  চিমটার সাহায্যে 'আই পেন্সিল'য়ে আঁকা দাগের বাইরের অংশের যেসব ভ্রু আছে তা উঠিয়ে নিন।

ভ্রুয়ের পুরুত্ব: কেমন চান তা ঠিক করে আই পেন্সিলের সাহায্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এঁকে নিন। তারপর লাইনের বাইরের ভ্রু উঠিয়ে ফেলুন। ভ্রুয়ের পুরুত্ব সাধারণত আধ ইঞ্চি বা চার ভাগের এক ভাগ হওয়া উচিত।

ভ্রুয়ের ঠিক বাঁক পাওয়ার জন্য আয়না বরাবর সরাসরি তাকান। ভ্রুয়ের বাঁক চোখের পাপড়ির বাইরের অংশের উপর বরাবর হওয়া প্রয়োজন। সে অনুযায়ী ভ্রু আই পেন্সিল দিয়ে চিহ্নিত করে দাগের বাইরের অংশের তুলে ফেলুন।

ভ্রু আঁকবেন যেভাবে: বর্তমানে আই পেন্সিল ব্যবহার করা খুবই সাধারণ ব্যাপার হলেও অনেকেই এটি ঠিকভাব ব্যবহার করতে পারেন না।

আই পেন্সিল ব্যবহারের আগে এর যথার্থ রং নির্বাচন করা উচিত। এই অঞ্চলের অধিকাংশ মহিলাদের ভ্রু গাঢ় রংয়ের হয়ে থাকে। তাই দুই শেইড হালকা রংয়ের পেন্সিল নির্বাচন করা উচিত।

সম্পুর্ণ ভ্রু পেন্সিল দিয়ে ভরাট করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার জেল ব্যবহার করে ভ্রু সেট করে নিতে হবে। এতে করে ভ্রু’র শেইপ ঠিক থাকে এবং রং ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে না।