গবেষণা মতে, প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ হতে পারে রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া।
গবেষণা আরও বলছে, প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তবে একা রেস্তোরাঁয় খেলে ডায়েটিং জলে যাওয়ার ঝুঁকি অর্ধেকটাই কমে আসে।
অপরদিকে ঘরে খাওয়া কিংবা কারও বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার আশঙ্কা আরও কম।
কর্মক্ষেত্রে কিংবা গাড়িতে অতিরিক্ত খাওয়ার আশঙ্কা যথাক্রমে ৪০ ও ৩০ শতাংশ।
গবেষণার প্রধান গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গের অধ্যাপক লোরা ই. বার্ক বলেন, “জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে পুনরায় ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো বোঝা এবং দমন করার উপায় সম্পর্কে গবেষণা অত্যন্ত জরুরি।”
যাদের ওজন বেশি এবং যারা বাড়তি ওজন কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন, তাদেরকে উপযুক্ত পরামর্শ দিতে বিশেষজ্ঞদের দিক নির্দেশনা দেবে এই গবেষণা।
বার্ক আরও বলেন, “ওজন কমানোর চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এমন ব্যক্তিদের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসা বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা সম্ভব হলে তারা লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও দৃঢ় প্রতীজ্ঞাবদ্ধ হয়ে উঠবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনে অনুষ্ঠিত ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েসন’স এপিডেমিয়োলজি অ্যান্ড প্রিভেনশন/লাইফস্টাইল অ্যান্ড কার্ডিওমেটাবলিক হেল্থ ২০১৭’ শীর্ষক বিজ্ঞান সম্মেলনে এই গবেষণা উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণার জন্য দেড়শ জন মানুষকে তাদের স্মার্টফোন ও একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ১ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা, যার মধ্যে ৯০ শতাংশই ছিলেন নারী। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রনকারীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয় ওই অ্যাপটি।
অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ক্যালরি গ্রহনের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছিলেন। গবেষকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তারা তাদের আশেপাশের পরিস্থিতি, তাদের অনুভূতি এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস থেকে সরে আসার ইচ্ছা হয়েছে কি না এসব বিষয় গবেষকদের কাছে তুলে ধরেন।
ছবি: রয়টার্স।