স্বাস্থ্যকর খাবার যখন স্থূলতার কারণ

প্রচলিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বাড়তে পারে দেহের মেদ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2017, 11:41 AM
Updated : 8 March 2017, 11:41 AM

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এসব তথাকথিত স্বাস্থ্যকর খাবারের রয়েছে অস্বাস্থ্যকর দিক।

কৃত্রিম চিনি: নামেই পরিচয়, খাবারটি কৃত্রিম। মানে তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে অপ্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান। পরীক্ষাগারে তৈরি এই রাসায়নিক উপকরণ হজম করার ক্ষমতা শরীরের নেই, ফলে তা চর্বি হিসেবে শরীরে জমা হয়, ওজন বাড়ে।

সয়া দুধ: রাসায়নিক পদার্থের মতোই ক্ষতিকর হতে পারে সয়া দুধ। অনেকের ধারণা সয়া দুধ ওজন কমাতে এবং সুস্বাস্থ্য পেতে সহায়তা করে। সে গুণ হয়ত এর আছে, তবে বাজারে যেসব সয়া দুধ পাওয়া তা অত্যন্ত নিম্নমানের, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত। ফলে সয়া দুধ পরিণত হয় শরীরের জন্য ক্ষতিকর তরলে।

মার্জারিন: মার্জারিন হল কৃত্রিম মাখন যা অন্য খাবারকে অযাচিত চর্বি হিসেবে শরীরে জমা করে। তাই মার্জারিনের বদলে ঘরে তৈরি মাখন ব্যবহার করা উচিত। এটা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি মার্জারিনের চাইতে সুস্বাদু। আর ঘরে তৈরি মাখনে মেলে শরীরের জন্য উপকারী চর্বি যা বিপাক প্রক্রিয়ার সহায়তা করে।

প্রিজারভেটিভ দেওয়া জুস: কোমল পানীয়তে এবং প্রিজারভেটিভ দেওয়া সরবতে একই পরিমাণ চিনি থাকে। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে এবং শরীরের বাড়তি চর্বি জমতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এসব পানীয়র রাসায়নিক উপাদান এবং কৃত্রিম রং শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

অপরিশোধিত আটার রুটি: কোনো রকম পরিশোধন বা ছাঁটা ঝারা ছাড়া গমের আটা থেকে রুটি বা পাউরুটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিতি। তবে স্বাদ বাড়াতে, লোভনীয় দেখাতে এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণের যোগ্য করতে এতেও অনেক সময় রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। আবার যে গম ব্যবহার করা হয়, সেটাও জিনগতভাবে পরিবর্তীত গম হতে পারে। এরকম প্রক্রিয়াজাত গমে থাকে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান, যা শরীর ফুলিয়ে দিতে পারে।

ছবি: রয়টার্স।