জিরার প্রতিষেধক

এই মসলা ব্যবহার করে হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, সর্দি বা হাঁপানি দূর করা যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2017, 11:05 AM
Updated : 6 March 2017, 11:05 AM

এই ধরনের সমস্যা সমাধানে জিরা কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সে পদ্ধতি খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে এখানে দেওয়া হল।

হজমশক্তি বাড়াতে: এতে থাকা ‘থাইমল’ নামক উপাদান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তেল লালাগ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। তাই হজমে সমস্যা থাকলে প্রতিদিন তিন বার জিরা-চা পান করতে পারেন।

রেসিপি: ১ কাপ পানিতে ১ টেবিল-চামচ জিরা নিয়ে ফুটিয়ে নিন। দিনে তিন বার পান করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: জিরাতে প্রচুর আঁশ থাকে যা পাকস্থলী থেকে নাড়ির ভিতরের কাজগুলো দ্রুততর করে। ফলে এনজাইম নিঃসরণ উজ্জীবিত হয়। এ কারণে জিরাকে বলা হয় ‘ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ’ বা প্রাকৃতিক রেচক। পাইলস ও অন্যান্য হজমসংক্রান্ত জটিলতা দূর করতেও জিরা উপকারী।

রেসিপি: ১ টেবিল-চামচ জিরা ভেজে গাঢ় বাদামি রং নিয়ে আসতে হবে। তারপর গুঁড়া করে পানি ও মধুর মিশ্রণে মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে খেতে হবে।

সর্দি ও হাঁপানি সারাতে: ব্যাকটেরিয়া ও প্রদাহরোধী উপাদান থাকায় সর্দি-কাশি ও হাঁপানি সারাতে জিরা অতুলনীয়। প্রদাহে আক্রান্ত পেশি প্রশমিত করার পাশাপাশি যন্ত্রণার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতেও জিরা উপকারী।

রেসিপি: ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল-চামচ জিরা নিয়ে ফুটতে হবে। যোগ করতে হবে কয়েক চিমটি আদাকুচি। আবারও ভালভাবে ফুটিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এই পানি পান করতে হবে প্রতিদিন দুতিন বার।

গর্ভবতীদের জন্য: গর্ভাবস্থায় বমিভাব দূরে রাখতেও সাহায্য করে এটি। রেচনে সহায়ক হওয়ায় সন্তান প্রসব সহজ করতেও ভূমিকা রাখে মসলাটির।

রেসিপি: ১ গ্লাস গরম দুধে আধা টেবিল-চামচ জিরাগুঁড়া ও ১ টেবিল-চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। পান করতে হবে প্রতিদিন।

অনিদ্রা তাড়াতে: জিরাতে থাকে ‘মেলাটোনিন’, যা থেঁতলানো কলার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে ঘুম-সহায়ক রাসায়নিক উপাদানের উৎপাদন বাড়ায়।

রেসিপি: আধা টেবিল-চামচ জিরার সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ থেঁতলানো কলা মেশিয়ে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে খেতে হবে।

উজ্জ্বল ত্বক পেতে: জিরা ও মধু মিশ্রিত ফেইস প্যাক ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল এবং মসৃণ। মধু প্রদাহে আক্রান্ত কোষ সারিয়ে তোলে। আর জিরা ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলার পর ‘জোজোবা অয়েল’ মাখতে হবে।

রেসিপি: সোয়া টেবিল-চামচ হলুদগুঁড়া, আধা টেবিল-চামচ জিরাগুঁড়া ও ১ টেবিল-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্কটি তৈরি করতে হবে। মাস্কটি ব্যবহারের পর ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুতিন বার ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে। 

চুলের যত্নে: লম্বা ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে সহায়ক জিরা।

রেসিপি: দেড়শ থেকে দুইশ মিলিলিটার বা এক গ্লাসের চারভাগের তিনভাগ পানিতে ১ টেবিল-চামচ জিরাগুঁড়া ও ১টি ডিমের কুসুম মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্টটি চুলে মাখিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার কিংবা প্রতি দুই সপ্তাহে একবার পেস্টটি ব্যবহার করতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।