‘পাইলস’ সামলে রাখতে

অর্শ হিসেবে পরিচিত এই রোগের ব্যথা উপশম ও আরামের জন্য খাদ্যাভ্যাসে নিয়ে আসতে হবে পরিবর্তন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2017, 11:49 AM
Updated : 1 March 2017, 11:49 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্য মতে, শ্রোণিচক্রের নিচের অংশ ও পায়ুপথের বাইরের বা ভেতরের রক্তনালীতে প্রদাহ বা ফুলে যাওয়াকে বলা হয় পাইলস বা ‘হেমারয়েডস’।

জটিলতা তীব্র আকার ধারণ করলে রক্তপাত হতে পারে। আর অবহেলার কারণে দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষরণ, কোষ মরে যাওয়া, এমনকি পায়ুপথে কিংবা অন্ত্রে ক্যান্সারও হতে পারে।

পাইলসের ব্যথা কমানোর এবং রোগ নিরাময়ের রয়েছে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি।

আঁশে ভরা খাদ্যাভ্যাস: শাক-সবজি, ভেষজ খাবার, ফলমূল, অপ্রক্রিয়াজাত সিরিয়াল ইত্যাদি খেলে মল নরম হয়, ফলে এর নিঃসরণও সহজ হয়। এতে পাইলসের কারণে পায়ুপথে হওয়া জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমে।

ঘোল: পাইলসের ব্যথা কমাতে দিনে দুবার লবণ, আদা ও গোলমরিচ মেশানো ঘোল পান করতে পারেন। এছাড়া করলার শরবত ঘোলের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে পান করতে হবে সকালে খালি পেটে।

বীজ: রক্তপাত কমাতে আধা কাপ ছাগলের দুধে এক চা-চামচ সরিষা বীজ মিশিয়ে পান করতে পারেন। স্বাদ বাড়াতে চিনিও যোগ করা যেতে পারে। খালি পেটে পান করতে হবে। এছাড়াও আমের আঁটি-গুঁড়ার সঙ্গে মধু যোগ করে দিনে দুইবার এক চা-চামচ পরিমাণ খেতে পারেন।

হলুদ: হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও ক্ষতস্থান সারিয়ে তোলায় সহায়ক উপাদান। সদ্য ভাঙিয়ে আনা হলুদের গুঁড়া এক চা-চামচ, আদা ও লেবুর রস, পুদিনা-পাতা এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। দিনে দুতিনবার মিশ্রণটি এক চা-চামচ পরিমাণ খেতে পারেন।

দই: ‘প্রোবায়োটিক’ বা শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া ‘গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল’ অর্থাৎ পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত ও  বৃহদান্ত- পর্যন্ত নালীগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ দই খাওয়া পাইলস রোগীদের জন্য উপকারী।

ছবি: রয়টার্স।