‘রেইজর বার্ন’ ও ক্ষত নিরাময়ের উপায়

দেহের অবাঞ্ছিত লোম যেভাবেই ওঠানো হোক না কেনো, এরপর ত্বকে জ্বালাভাব হয়। যাকে বলে ‘রেইজর বার্ন’। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে সহজ উপায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2017, 10:51 AM
Updated : 28 Feb 2017, 10:51 AM

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়- ‘শেইভ’, চিমটা দিয়ে লোম তোলা বা ‘ওয়াক্সিং’ করার পর ত্বকের জ্বালাভাব থেকে পরে অস্বস্তিকর ‘চুলকানি’ হয়ে থাকে।

এই সমস্যার রয়েছে সহজ সমাধান।

টি ব্যাগ: চায়ের ট্যানিক অ্যাসিড ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং জ্বালাভাব দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের যেখানে ‘রেইজর বার্ন’ হয়েছে সেখানে টি ব্যাগ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে কয়েকবার করে এটি ব্যবহার করতে হবে।

লেবুর রস: লেবুর রসে পাওয়া যায় সিট্রিক অ্যাসিড যা প্রাকৃতিক ধারক হিসেবে কাজ করে এবং শেইভের ফলে তৈরি ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।

তিনটি লেবুর রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তা তুলোর বলের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। শুকিয়ে এলে ১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুবার এটি ব্যবহার করতে হবে।।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর প্রদাহ নাশক উপাদান ত্বকের বিরক্তিকর ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

পানির সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে তুলার বলের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। দশ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দিনে দুতিনবার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

অ্যালোভেরা: এর জেলির মতো তরল পদার্থ ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। ত্বকের ফোলাভাব এবং শেইভের ফলে তৈরি হওয়া ক্ষত ও জ্বালাভাব কমায়। অ্যালোভেরার জেল হালকাভাবে আক্রান্ত স্থান মালিশ করুন। দিনে দুতিনবার করে এক সপ্তাহ এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

টি ট্রি তেল: এই তেলের ব্যাক্টেরিয়া নিধন, জীবণুনাশক এবং প্রদাহরোধী উপাদান ত্বকের ফোলাভাব ও সংক্রমণ কমায়।

৫০ মি.লি. পানির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি তেল মিশিয়ে তুলার বলের সাহায্যে ‘রেইজার বার্ন’ হওয়া ত্বকে লাগান। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন দুতিনবার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।