পাকস্থলীর ক্ষত সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা

আলসার শুনে অনেকেই ভাবেন পেটের অসুখ। আসলে আলসার মানে ক্ষত। শরীরের বাইরের ক্ষত দেখা গেলেও পাকস্থলীর ক্ষত দেখা যায় না। তবে যন্ত্রণা ঠিকই টের পাওয়া যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2017, 10:18 AM
Updated : 27 Feb 2017, 10:18 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটের তথ্য মতে- পাকস্থলীর আলসার, যা পেপটিক বা গ্যাস্ট্রিক আলসার নামেও পরিচিত, আসলে পাকস্থলীর গায়ে হওয়া এক প্রকার ঘা।

‘এইচ. ফাইলরি’ নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে, স্টেরয়েড বিহীন প্রদাহরোধকের বেশি ব্যবহার, ব্যথানাশক বড়ি, মদ্যপান ইত্যাদি কারণে এই জটিলতা দেখা দেয়।

হাতের নাগালেই রয়েছে এরকম উপকরণ দিয়ে পাকস্থলীর আলসারের যন্ত্রণা থেকে সাময়িক কিংবা দীর্ঘমেয়াদি মুক্তি পাওয়া যায়।

মেথি: মেথি থেকে পাওয়া ঘন ও আঠাল উপাদানে রয়েছে ঘা সারিয়ে তোলার শক্তিশালী উপাদান। দুই কাপ পানিতে এক চা-চামচ মেথি বীজ সিদ্ধ করে নিতে হবে। স্বাদ বাড়াতে মধু যোগ করতে পারেন। এক সপ্তাহ প্রতিদিন ‍দুবেলা করে পান করতে হবে।

কলা: পাকা ও কাঁচা দুই অবস্থাতেই কলাতে থাকে প্রচুর ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান যা পেটের আলসারের জন্য দায়ী ‘এইচ.ফাইলরি’ ব্যাকেটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে। পাশাপাশি অম্লীয় ও গ্যাস্ট্রিক রস অপসারণের মাধ্যমে হজম পদ্ধতি ভালো রাখে। ফলে জ্বালাপোড়া কমে এবং পাকস্থলীর আস্তরণ শক্তিশালী হয়। তাই পেটের আলসারে ভুগলে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দিনে তিনটি করে কলা খেতে পারেন।

প্রোবায়োটিক: ঘোল, দই ইত্যাদি প্রোবায়োটিকজাতীয় খাবারে থাকে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া যা হজম পদ্ধতি সঠিকভাবে সম্পাদনে সহায়ক। ‘এইচ. ফাইলরি’ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে প্রোবায়োটিকের উপকারিতা গবেষণায় প্রমাণিত। তাই আলসার থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ প্রোবায়োটিকজাতীয় খাবার খেতে হবে।

নারিকেল: নারিকেলের দুধ ও পানিতে ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ আছে, যা আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। প্রতিদিন এক কাপ কচি নারিকেলের দুধ বা পানি পান করতে পারেন। আরও বেশি উপকার পেতে কচি নারিকেলে শাঁসও খেতে পারেন।

বাঁধাকপি: পাকস্থলীর আস্তরণে রক্তপ্রবাহ সচল রাখতে উপকারী এই সবজি। ফলে পাকস্থলীর আস্তরণ শক্তিশালী হয় এবং আলসার সারাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিন সি, ‘এইচ.ফাইলরি’ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে। রাতের খাবার খাওয়ার আগে সদ্য তৈরি বাঁধাকপির শরবত পান করতে পারেন। অথবা অর্ধেক বাঁধাকপি কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন।