স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে এরকম কিছু ভেষজ পদ্ধতি এখানে দেওয়া হল।
রেসিপি ১
- একটি বাটিতে সিঁকি কাপ আপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে সিঁকি কাপ তাজা লেবুর রস, দুই টেবিল-চামচ কাঁচামধু মেশাতে হবে।
- এরপর, আধা চা-চামচ শুকনা-মরিচ, এক টেবিল-চামচ শুকনা আদা এবং আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়া মেশাতে হবে।
- এক চিমটি গোলমরিচ দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে না মেশা পর্যন্ত ঝাঁকাতে হবে।
পরে ব্যবহারের জন্য এটি একটি কাচের পাত্রে রেখে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে পারেন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এক চামচ করে সিরাপটি পান করুন।
রেসিপি ২
- পাঁচ, ছয়টি মূলা ও একটি পেঁয়াজ ভালো করে ধুয়ে টুকরা করে নিন।
- ঘন দ্রবণ পেতে এগুলো ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
- এরপর এক কাপ মধু এবং এক কাপ লেবুর রস মিশিয়ে আবার ব্লেন্ড করতে হবে।
একটি পাত্রে রেখে এটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত রেফ্রিজারেইটরে বা ফ্রিজের সাধারণ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। চাইলে প্রতিদিন এক চামচ করে এই সিরাপ পান করতে পারেন।
রেসিপি ৩
- সিঁকি কাপ শিয়া বাটার ও নারিকেলের তেল একসঙ্গে নিয়ে কয়েক সেকেন্ড ঝাঁকান
- কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, পিপারমিন্ট এবং ‘ইউক্যালিপ্টাস-এসেনশল অয়েল’ এই মিশ্রণে মিশিয়ে আবার খানিকক্ষণ ঝাঁকান।
একটি বায়ুরুদ্ধ পাত্রে এটি সংরক্ষণ করুন। ঠাণ্ডায় বুক ভার ভাব হলে পিঠে সামান্য পরিমাণে এটি ব্যবহার করুন। নাক বন্ধ হয়ে আসলে মিশ্রণটি গরম পানিতে সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে তার বাষ্প শ্বাসের সঙ্গে টানতে হবে।
উপাদানগুলোর উপকারিতা
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: শ্লেষ্মা তরল করতে এবং সাধারণ ঠাণ্ডা দূর করতে এটি সাহায্য করে।
লেবু: লেবুর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর সিট্রিক অ্যাসিড শ্লেষ্মা নরম করতে সাহায্য করে। অত্যাবশ্যকীয় লেবুর তেলে আছে অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান।
মধু: এর শীতল, নিরাময়কারী, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ঠাণ্ডা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
শুকনা মরিচ: সাইনাস দূর করতে সাহায্য করে।
আদা: গলা ব্যথা দূর করে এবং ঠাণ্ডা ও সর্দিজনিত সমস্যা লক্ষণ ও বৃদ্ধি দূর করতে সাহায্য করে।
হলুদ: প্রদাহ দূর করে।
গোলমরিচ: এটি কফ নরম করে ও বন্ধ নাক পরিষ্কার করে।
মূলা: ব্রংকাইটিস, ঠাণ্ডা এবং অ্যালার্জির কারণে বুক বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর করে।
লবঙ্গ: ঠাণ্ডা ও বুকবন্ধ হওয়া সমস্যা দূর করে।
পেঁয়াজ: শ্লেষ্মা দূর ও বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
ইউক্যালিপ্টাস এবং কোকোনাট এসেনশল অয়েল: অত্যাবশ্যকীয় তেলঃ কফ দূর করতে ও বন্ধ নাক পরিষ্কার করতে এটি সাহায্য করে। গলা বন্ধ ও এর অস্বস্থি দূর করতে এটি সাহায্য করে।
ছবি: রয়টার্স।