সাধারণ পোশাকে জমকালো অনুষঙ্গ

সবসময় ভারী পোশাক পরতে ভালো লাগে না, এমন দিনগুলোর জন্যই বেছে নিতে হবে বাড়তি জমকালো অনুষঙ্গ।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2017, 02:20 PM
Updated : 25 Feb 2017, 02:20 PM

সুন্দর একটি ব্যাগ, জুতা, কানের দুল পুরো সাজ বদলে দিতে পারে। তাই খুব সাধারণ পোশাকেও নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে সঠিক অনুষঙ্গ বেছে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া নিয়মে কিছুটা ব্যতিক্রম আনা যেতে পারে।

অনুষঙ্গ বাছাইয়ের এমনই কিছু খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরেন ভারতীয় ফ্যাশন ওয়েবসাইট ‘ফ্যাশনঅ্যান্ডইউ ডটকম’য়ের ক্রিয়েটিভ স্টাইলিস্ট অনুজ লালওয়ানি।

কানের দুল: শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট ব্লাউজ বা কামিজ আর ওড়নার রংয়ে ভিন্নতা- এই জামানায় অনেক ফ্যাশন সচেতন নারীর কাছেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একই ধারায় এখন যুক্ত হয়েছে গয়নাও।

পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে কানের দুল বাছাইয়ের রীতিও এখন বেশ পুরানো। তাই এখন কানের দুল নিয়েও ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করতে পারেন নির্দিধায়।

এছাড়া এখন ‘ইয়ার কাফ’ পরছেন তরুণীরা। এক কানে ঝোলানো কাফ আর অন্য কানে ছোট দুল। চাইলে রংবেরংয়ের ‘ফেদার ইয়ার রিং’ পরতে পারেন। একরঙা জামার সঙ্গে হরেক রঙা ‘ফেদার রিং’ বেশ ভালো লাগবে।

কানের দুল।

চকার্স।

চকার্স:
নব্বই দশকে চকার ছিল ফ্যাশনেবল নারীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। প্রায় দু’দশক পর আবার ফিরে এসেছে আঁটসাঁট সাদামাটা এই নেকলেস। সাধারণ কালো ভেলভেট লেস বা লেদার স্ট্রিপ দিয়েই তৈরি হয় চকার। সঙ্গে যোগ হয় ছোট পেনডেন্ট।

আবার বিভিন্ন নকশার লেইস দিয়েও চকার তৈরি করা হয়। সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট-টপস বা গাউন যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় চকার।

এখন আবার বিভিন্ন মেটালের তৈরি চকারও পাওয়া যাচ্ছে অহরহ।

ভিন্নধর্মী জুতা: গ্লিটার, ক্রিস্টেল বা স্টোন বসানো স্যান্ডেল আর জুতা সবসময়ই জমকালো সাজের ক্ষেত্রে বেশ প্রিয় একটি অনুষঙ্গ। যে কোনো উৎসবে এ ধরনের জুতা বা স্যান্ডেল বেছে নেওয়া যেতে পারে।

ভিন্ন রকম জুতা।

ঝকঝকে ঘড়ি।

ফ্যাশনেবল জুতা যে শুধু হাই হিল হতে হবে তা কিন্ত নয়, নিচু স্যান্ডেল বা ‘ব্যালেরিনা শু’-ও হতে পারে সমান আকর্ষণীয়। চুরিদার সালোয়ারের সঙ্গে পছন্দ মতো নাগরাও পরা যেতে পারে।

ঝকঝকে ঘড়ি: অনেকদিন ধরেই বড় ও চকচকে ঘড়ির পরার চল চলছে। শুধু তাই নয় বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন সচেতন ও ‘সেলিব্রেটি’রা তাদের মেটালিক ঘড়ির সঙ্গে মানিয়ে বালা বা চুড়ি পরছেন। এরকম স্টাইলের ‘আর্ম কাফ’ পরলে পুরো সাজ হবে ভিন্ন রকম নান্দনিক।

রিস্টলেট।

কব্জিতে ঝোলানো ছোট ব্যাগ:
সুন্দর নকশা করা এরকম ব্যাগকে বলে ‘রিস্টলেট’ বা মণিবন্ধ।

এই ধরনের ব্যাগ হাতে ঝুলিয়ে রাখতে পারলে সাজে নিয়ে আসে অন্যরকম আমেজ। শুধু দেখতেই নয়, কাজেও লাগে সঙ্গে একটি ছোট ব্যাগ থাকলে। যাতে ভরে রাখা যায় টাকা, মোবাইল আর মেইকাআপের ছোটখাট জিনিস।

নকশা করা ছাড়াও অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে সোনালি বা রুপালি ‘রিস্টলেটস’ বা মণিবন্ধ ব্যবহার করা যায়।

আসলে পোশাক যেমনই হোক না কেনও তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাই সব থেকে বড় বিষয়। আর একটি সুন্দর পোশাকের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সঠিক অনুষঙ্গ বাছাইও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

ছবি: রয়টার্স ও নিজস্ব।