নতুন এক গবেষণার ফলাফল থেকে এমন সাবধান বাণী দিয়েছে গাবেষকরা। এই রোগে শরীরের মাংসপেশির উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারায় স্নায়ুকোষ।
অতিমাত্রায় পারদ শরীরের জন্য বিষাক্ত। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র, বৃক্ক, ফুসফুস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সোর্ডফিস বা তলোয়ার মাছ, হাঙর, সাদা স্যামন, সার্ডিনস ইত্যাদি মাছে প্রচুর পরিমাণে থাকে এই ধাতু।
তবে স্বাভাবিক মাত্রায় এই মাছগুলো খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা খুঁজে পায়নি গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডার্টমাউথ কলেজ ইন নিউ হ্যাম্পশায়ার’য়ের অধ্যাপক এলিজাহ স্টোমেল বলেন, “বেশির ভাগ মানুষের কাছেই মাছ খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তবে পারদ সমৃদ্ধ খাওয়ার প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন থেকেই যায়।”
গবেষণার জন্য ৫১৮ জন মানুষের উপর জরিপ চালান গবেষকরা। যার মধ্যে ২৯৪ জন ‘এএলএস’য়ে আক্রান্ত আর বাকি ২২৪ জন সুস্থ। পারদ প্রচুর পরিমাণে আছে এমন মাছ তারা কী পরিমাণে এবং কতটা নিয়মিত খান সে বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গবেষকরা।
অংশগ্রহণকারীদের পায়ের নখে পারদের পরিমাণও পরিমাপ করেন গবেষকরা।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজি’র ৬৯তম বাৎসরিক সম্লেলনে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। জানা যায়, ৬১ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর বছরে পারদ গ্রহণের মাত্রা ২৫ শতাংশ। যাদের বাৎসরিক পারদ গ্রহণের পরিমাণ কম তাদের তুলনায় এদের ‘এএলএস’য়ে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা দ্বিগুণ।
মাছ খাওয়ার স্বাস্থ্যগুন সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো প্রভাব ইঙ্গিত না করলেও কোন মাছ খাবেন সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। প্রচুর পারদ থাকে এমন মাছ খেতে হবে রয়েসয়ে।
ছবি: রয়টার্স।