দাদের ঘরোয়া চিকিৎসা

তবে সংক্রমণ বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2017, 11:23 AM
Updated : 22 Feb 2017, 11:23 AM

চিকিৎসাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দাদ একটি ফাঙ্গাস ঘটিত প্রদাহ যা শরীর, নখ, মাথার ত্বকে আক্রমণ করে।  

সংক্রামক এই প্রদাহ মাথায় ত্বকে পৌছালে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। হরহামেশাই চোখে পড়ে এমন কিছু উপসর্গ হল- চুলকানি, লালচে ও ফোলাভাব, গোলাকার ছোপ যা জ্বালাপোড়া করে এবং রস চুইয়ে পড়া।

সমস্যা সমাধানে রাসায়নিক পদার্থের আশ্রয় না নিয়ে প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী: দাদসহ আরও অনেক রকম ত্বকের সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান অ্যলোভেরা। এর জেল বের করে নিয়ে সরাসরি মাথার ত্বকের প্রয়োগ করতে হবে। ভালো ফল পেতে সারারাত মাথায় মাখিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। দাদ সেরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: গবেষণায় প্রমান পাওয়া গেছে যে, অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকা ফাঙ্গাসরোধী উপাদান ফাঙ্গাসঘটিত জটিলতা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে পারে। দিনে তিন থেকে পাঁচবার পরিষ্কার তুলায় অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে ডুবিয়ে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে। দাদ মিলিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে। 

টি ট্রি ওয়েল: এত থাকা ফাঙ্গাসরোধী এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান দাদ পুরোপুরি সারাতে সক্ষম। তুলার বল ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে প্রতিদিন। ভালো ফল পেতে তেলটি হালকা গরম করে নিতে পারেন।

কাঁচাপেঁপে: দাদ সাধারণত ত্বকের উপরে থাকা মৃতকোষের স্তরের উপর হয়। কাঁচাপেঁপেতে থাকা জৈবরাসায়নিক পদার্থ ত্বকের বাইরের অংশের মৃতকোষ দূর করতে অত্যন্ত উপকারী। কাঁচাপেঁপে কেটে আক্রান্ত স্থানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঘষতে হবে। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন তিনবার প্রয়োগ করতে হবে।

লবণ ও ভিনিগার: লবণ পানি ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ হিসেবে কাজ করে যা ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তোলে। সংক্রমিত স্থান প্রদাহ মুক্ত করতে এবং র‌্যাশ দূর করতেও এটি বেশ উপকারী। এক টেবিল-চামচ সামুদ্রিক লবণের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ ভিনিগার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন তিনবার আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে।