চুল ফাটা রোধে ডিম ও মধু

পাশাপাশি নিয়ম করে চুলের আগা ছাঁটতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2017, 01:32 PM
Updated : 21 Feb 2017, 01:36 PM

আধুনিক ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে চুলের উপর অনেক সময় অত্যাচার করা হয়। নিজেকে ভিন্ন আর সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য ব্লিচ, রং, তাপ ইত্যাদির ব্যবহার কেশ হয়ে যায় রুক্ষ। ফলাফল চুলের আগা ফাটা।

ভারতের ‘অ্যাডভান্সড হেয়ার স্টুডিও’র কুশলীরা জানিয়েছেন, এই সমস্যা রোধের জন্য ডিমের মাস্ক ও মধু অনেক কার্যকর।

ডিমের মাস্ক: প্রোটিন এবং এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস ডিম। চুলের জন্য তৈরি মাস্ক বা প্যাক’য়ে ডিম থাকলে তা চুলের গোড়া শক্ত করার পাশাপাশি কন্ডিশনারের কাজ করে, ফলাফল চুলের আগা ফাটা রোধ। পাশাপাশি টক দই ব্যবহার করলে চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ।

মধু: টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুলের প্রান্তে ব্যবহার করলে আগা ফাটা রোধে চমৎকার কাজ করে।

প্রশস্ত দাঁতের চিড়ুনি: শাওয়ারে কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরে এই ধরনের চিড়ুনি দিয়ে যতক্ষণ না জট খুলছে ততক্ষণ চুলের গোড়া থেকে প্রান্ত পর্যন্ত ধীরে আঁচড়ে নিন।

ক্ষতির পরিমাণ কামতে: রং করা, হাইলাইটস, স্ট্রেইটনিং এবং কোঁকড়া- এ ধরনের যে কোনো স্টাইল চুলের ক্ষতি করে। তাই আগা ফাটা রোধে যে কোনো একটি স্টাইলে নির্দিষ্ট থাকা উচিত। এবং যত কম করা যায় ততই ভালো। আর এই ধরনের স্টাইল করার পর অন্তত ৪৮ ঘণ্টা চুল ভেজানো উচিত না। কারণ এই ধরনের কাজ করার পর চুল দুর্বল হয়ে যায়। আর দুর্বল চুল মোছার ফলাফল আগা ফাটা।

নিয়মিত ছাঁটুন: চুলের আগা ফাটা রোধে সব থেকে কার্যকর পদ্ধতি আগা ছাঁটা। প্রতিনিয়ত ছোট করা সবচেয়ে ভালো প্রতিরোধ ব্যবস্থা। যত দেরি করে ছাঁটবেন ততই চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।