যেসব ফলের খোসাও ভালো

কিছু ফল খোসা ছাড়িয়ে খেলে পুষ্টিগুণ হারাতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2017, 01:13 PM
Updated : 18 Feb 2017, 01:13 PM

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তাজা ফল শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে ফল খাওয়ার সঠিক উপায় অনেকেরই অজানা।

এমন ছয়টি ফলের নাম এখনে দেওয়া হল যা খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত না।

আপেল।

আপেল:
অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকা এই ফলে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। অনেকেই খোসাসহ ফলটি খেলেও খোসাসহ খাওয়ার উপকারিতা সিংহভাগেরই অজানা।

আপেলের খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আলৎঝাইমার’স রোগ ও অন্যান্য ক্ষয়জনীত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে। খোসাতে আঁশ ও ভিটামিনও থাকে প্রচুর, যা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। আপেলের খোসাতে থাকা আরেকটি উপাদানের নাম ‘ট্রাইটারপেনোইডস’, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। 

নাশাপাতি। ছবি: রয়টার্স।

নাশপাতি:
এই ফলের খোসা ছাড়ালে হারাতে হবে আঁশ ও পুষ্টিগুণের অনেকটাই। ফলটির মোট পুষ্টি ও আঁশের প্রায় অর্ধেকটাই থাকে এর খোসায়। এছাড়াও থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ড ও প্রদাহরোধী উপাদান। তাই খোসাসহ ফলটি খাওয়াই সবচাইতে ভালো।

সফেদা।

সফেদা:
খোসাসহ সফেদা খাওয়ার রয়েছে নানান স্বাস্থ্যগুণ। সফেদার খোসায় থাকা পুষ্টি উপাদান ‘মিউকাস লাইনিং’ বা শ্লেষ্মার আস্তরণের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। পটাশিয়াম, লৌহ, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ হওয়ার এটি হজমক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আলুবোখারার চাটনি।

আলুবোখরা:
মানসিক চাপ দূর করতে সুস্বাদু এই ফল অত্যন্ত কার্যকর। এর খোসাতে থাকে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’ নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য ও অন্যান্য হজমের সমস্যা দূর করতে খোসাসহ আলুবোখরা খাওয়া বেশ উপকারী।

কিউই। ছবি: রয়টার্স।

কিউই:
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল আরও পুষ্টিকর করে তোলে এর খোসা। খোসা ছাড়া খাওয়ার তুলনায় খোসাসহ খেলে আঁশ মেলে প্রায় তিনগুণ বেশি। আর খোসা যেহেতু ফলটির ভিটামিন সি সংরক্ষণ করে তাই ফলটি খোসাসহ খাওয়া বেশি উপকারী।

আম।

আম:
আমের খোসায় থাকে চর্বি পোড়াতে সহায়ক ও চর্বি কোষ তৈরি রোধ করে এমন উপাদান। আরও থাকে ক্যারোটিনয়েড, পলিফেনল, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স, পলিআনস্যাচারেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা ক্যান্সার, ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আমের খোসা রান্না করে অথবা শুধু খোসা চিবিয়ে খেতে পারেন। ফল ও খোসা একসঙ্গে খাওয়ার আরেকটি উপায় আঁচার বানিয়ে খাওয়া।

মনে রাখতে হবে, খোসাসহ খাওয়ার আগে ফলটি অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।