ব্যায়াম শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই ফলাফলের জন্য অস্থির হয়ে যান অনেকেই। প্রতিদিন ওজন মাপার যন্ত্রের উপর উঠে দেখতে থাকেন কতটুকু ওজন কমেছে। তবে বেশির ক্ষেত্রেই চোখে উল্টা ফলাফল, ওজন বাড়ছে।
শরীরচর্চাবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানাচ্ছে এর সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে কয়েকটি।
মাংসপেশির ব্যথা: প্রথমবার ব্যায়াম করার পর পেশিতে যে ব্যথা হয় তার কারণে ওজন বাড়তে পারে। মূলত প্রথম প্রথম ব্যায়ামের পর পেশির কোষকলা ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে এই ব্যথা হয়, যা দুতিন দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। যে পেশিকে উদ্দেশ্য করে নতুন ব্যায়ামের রুটিন করা হয় ওই পেশিকে রক্ষা করতেই এমনটা হয়। তবে মনে রাখতে হবে এই ব্যথা এবং এরসঙ্গে সম্পর্কিত বাড়তি ওজন উভয়ই সাময়িক। দুই সপ্তাহের মধ্যে এই প্রভাব দূর হয়ে যায়।
পানি সংরক্ষণ: পেশি রক্ষা করার দ্বিতীয় পদ্ধতি পানি সংরক্ষণ। নতুন ব্যায়ামের রুটিন থেকে পেশি নিজেকে রক্ষার স্বার্থে পানি সংরক্ষণ করে সাময়িক ফুলে উঠতে পারে। ফলে দুই কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
পেশির বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যায়াম করার কারণে শরীরের বড় আকারের পেশিগুলো আরও বড় হতে থাকবে। তবে পেশি চর্বির তুলনায় জায়গা দখল করে কম। তাই শরীর ছিমছিমে হওয়ার পরেও ওজন বাড়তে পারে। এতে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আসলে ভালো।